ঢাবির কার্জন হল এলাকায় ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসীর দাবিতে মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০২:০৪ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল এলাকায় ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসি স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনের দোয়েল চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১। কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করতে হবে।
২। মোকররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।
৩। কার্জন হল এলাকায় ফার্মেসি/ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কার্জন হল এলাকা ও মোকাররম ভবনে ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি তোলা হয়েছে। অতি জরুরি ও ন্যায্য দাবি হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ আমরা এখনো দেখতে পাইনি। ক্যাম্পাসে নানা অবকাঠামো ও ভবন তৈরি হলেও ক্যাফেটেরিয়া-ক্যান্টিনের দাবি সবসময় অবহেলিত হয়েছে। কার্জন হলে জহিরের ক্যান্টিন থাকা সত্ত্বেও সেখানে মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকেনা এবং বসার কোনো পরিবেশ নেই। ফলে কার্জন হলের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংকট এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে একটি ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন অনিবার্য।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মোকাররম ভবনে সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনে অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে কিছু টং ও খাবারের দোকান রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত এবং মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। কোনোরকমে বসে বা দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের খাওয়া দাওয়া করতে হয়। তাই মোকাররম ভবনে একটি ক্যান্টিন স্থাপন অতি জরুরি বিষয়। অত্র এলাকায় নারী শিক্ষার্থীদের জরুরী প্রয়োজনে ফার্মেসি সেবার দরকার হয়। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে অত্র এলাকায় ফার্মেসি/ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
গণিত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন বলেন, আমাদের ঢাবির কার্জন-মোকাররম এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ১২-১৪ হাজারের মতো। অথচ আমাদের এখানে খাবার খাওয়ার জন্য শুধুমাত্র ম্যাথ ক্যান্টিন, সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনের খাবারের দোকান, জহিরের ক্যান্টিন এবং আইএনএফএস এর খাবারের দোকান বাদে আর কোথাও খাবারের ব্যবস্থা নাই। অনেক সময় দাঁড়িয়ে খেতে হয়। বৃষ্টির দিনে দাঁড়ানোর মতো পরিবেশও থাকে না।
আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিলা আশিক বলেন, আমাদের বিজ্ঞান বিভাগের ৪০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। তাদের জন্য কোন ফার্মেসি নেই। আমাদের বলা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মেসিতে যেতে। ইমার্জেন্সি অবস্থায় আমাদের এত দূরে যেতে হয়। ডিজিটাল ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করাটা জরুরি। নারী হিসেবে জরুরি অবস্থায় ৩০-৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হয় এটা ঢাবির শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন ধরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কার্জন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে শিক্ষার্থীরা।