ঢাবিতে অপ্রীতিকর অবস্থায় ৬ তরুণ-তরুণী আটক

ঢাবি লোগো এবং প্রক্টরিয়াল টিমের ভ্যানে আটককৃতরা
ঢাবি লোগো এবং প্রক্টরিয়াল টিমের ভ্যানে আটককৃতরা  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জল হলের পাশে অপ্রীতিকর অবস্থায় ৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। পরে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকারের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায় নি।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের কলা ভবনের সামনে থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

জানা গেছে, সন্ধ্যার পর কার্জন হল এলাকায় নীরবতার নেমে আসে। এই সুযোগে অনেক তরুণ-তরুণী অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা কার্জন হল এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে অপ্রীতিকর অবস্থায় ৬ বহিরাগতকে আটক করা হয়। 

প্রক্টরিয়াল টিমের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন সহকারী প্রক্টর হাসান ফারুক। আটককৃতদের শাহবাগ থানায় নিয়ে  অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে তাদের কাছে হস্তান্তর করার চিন্তা করা হয়েছিল। তবে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শিমুলের হস্তক্ষেপের কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য আব্দুল্লাহ বলেন, ৬ তরুণ-তরুণীকে আটকের আমরা শাহবাগ থানার দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা শিমুল কুম্ভকার আমাদের পথ আটকায়। এ সময় শিমুল আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিমুক কুম্ভকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,  প্রক্টর স্যারকে জিজ্ঞেস করি কেন তাদের ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, তারা বহিরাগত, ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়েছে এবং থানায় নিয়ে তাদের অভিভাবকদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে ঢাবির অন্যরা তো প্রেম করছে অপ্রীতিকর কাজ করছে তাদেরটা কি বৈধ? তাদের কেন আটক করা হচ্ছে না? এমন কোন আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই বললে সহকারী প্রক্টর স্যার তাদেরকে ছেড়ে দেন। 

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. হাসান ফারুক বলেন, কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে একটা অপ্রীতিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আমরা আমাদের কার্যক্রম গতিশীল করি। কার্জন হলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে এম তথ্য পেয়ে সেখানে যাই। পরে অপ্রীতিকর অবস্থায় বহিরাগত ৩ জোড়া কাপলকে আটক করা হয়। তাদের নিয়ে আসার সময় ছাত্র ইউনিয়নের শিমুল আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এই সুযোগে আটককৃতরা চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গেট রয়েছে। এই গেটগুলো দিয়ে অনেক বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এখানকার পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট না করে সেই চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

ধরাবাধা শুধু বহিরাগতদের জন্যই কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক বোঝাচ্ছি। তারা যেনো ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট না করে। আমরা কার্জন এলাকায় সিসিটিভি লাগিয়েছি, সেখানে বারান্দায় দাঁড়ানো বা বসাও নিষিদ্ধ করে নোটিশ লাগিয়েছি। সবাই যদি এ সম্পর্কে জানতে পারে তাহলে সবাই এসব কাজ থেকে বিরত থাকবে। ক্যাম্পাসের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ