‘উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন কুবি ভিসি’

মানববন্ধনে জাবির সাংবাদিক ও শিক্ষকরা
মানববন্ধনে জাবির সাংবাদিক ও শিক্ষকরা  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক বহিষ্কারের মাধ্যমে উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কর্মরত সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন এমন মন্তব্য জানান তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের এ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে শিক্ষকরাও এতে অংশ নেন।

এসময় বণিক বার্তার জাবি প্রতিনিধি মেহেদী মামুন বলেন, সাংবাদিকতার টুটি চেপে ধরতেই কুবি উপাচার্যের এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ঘটনায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তিনি নিজে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সাথে জড়িত বলেই তিনি এই বিকৃত মস্তিষ্কের চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। একজন উপাচার্যের এমন আচরণ তার উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে।

কুবি উপাচার্যকে নিয়ে আলোচিত সংবাদটি পড়ুন এখানে থেকে: দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে: কুবি উপাচার্য

দৈনিক ইত্তেফাকের জাবি সংবাদদাতা আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একজন সাংবাদিককে বহিষ্কার করেছে। সংবাদ প্রকাশে কোনো ভুল থাকলে তা সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ করে প্রতিবাদ জানাতে পারতেন, অন্যথায় জাতীয় প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সাংবাদিককে বহিষ্কারের মাধ্যমে উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা অনতিবিলম্বে ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ বলেন, একটি সমাজে সাংবাদিকদের যদি লেখার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার না থাকে তাহলে সেই সমাজ কখনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে পারে না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি হোক। 

মানববন্ধনে দ্য বিসনেজ স্ট্যান্ডার্ডের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসিব সোহেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম, দৈনিক যায়যায়দিন'র প্রতিনিধি শিহাব উদ্দিন, নিউ এইজের প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন ও দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি নোমান বিন হারুন প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ