রাবির পরীক্ষায় ভাড়ায় খাটতে এসে আটক ৩

আটককৃত তিনজন মো. হোসাইন, মো. স্বপন হোসাইন ও আব্দুর রাকিব
আটককৃত তিনজন মো. হোসাইন, মো. স্বপন হোসাইন ও আব্দুর রাকিব  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের সহযোগিতায় তিন জনকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। আটককৃত তিনজন হলেন মো. হোসাইন, মো. স্বপন হোসাইন ও আব্দুর রাকিব।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক।

আটককৃত মো. হোসাইন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আফজালপুর ইউনিয়নের কাওছার হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ৪২৪ নং কক্ষের মো. জাহিদ আল হাসান সিয়ামের (রোল- ২১৬০২) হয়ে প্রক্সি দেন। 

অন্যদিক মো. স্বপন হোসাইনের বাসা নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার গোবরচাঁপা বাজারের মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের ১৩৫ নম্বর কক্ষের তানভীর আহমেদ নামে (রোল- ২৪০৯৬) এক পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

a11af06d-2693-49da-83bb-6c6a00656156

মো. আব্দুর রাকিব (রোল- ৪০৯৪৩) জয়পুরহাট জেলার কালায় থানার উওর পাকুরিয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ৩৩৭ নং কক্ষে নিজের ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড আসাবুল হক বলেন, আজকে প্রক্সিকাণ্ডে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, প্রক্সিকাণ্ডে দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এদের দুজন ছাড়াও আরও ১জন আছে যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

eaca1cc4-34b3-4121-b1a4-7108d0fe5cbc

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, রাবির ভর্তি যেন সুষ্ঠু ভাবে হয় তার জন্য আমরা কাজ করছি। আজকে যে প্রক্সিকাণ্ডে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদের পেছনে বড় একটি গ্রুপ কাজ করছে। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা করবো আমরা।

আমাদের আগের মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের কিছুটা নামের মিল পাচ্ছি আমরা। আমাদের জায়গায় থেকে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করবো। একজন নিরপরাধী যেন সাজা না পায় অপরাধী যেন পার না পায় সেদিকে আমরা অবশ্যই নজর রাখবো। তারা যে গ্রুপের হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ