অধ্যাপক জামালের বক্তব্য সমর্থন করে না ঢাবি শিক্ষক সমিতি

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন ঢাবি অধ্যাপক ড. জামাল
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন ঢাবি অধ্যাপক ড. জামাল  © ফাইল ছবি

নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ আরও ৫ বছর কিংবা অন্তত দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন। শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এক মানববন্ধনে এই শিক্ষক এমন বক্তব্য দিলেও সংগঠনটি বলছে, তারা এটি সমর্থন করে না। এটি অধ্যাপক জামালের ব্যক্তিগত বক্তব্য।

বুধবার (২৪ মে) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।

শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশের ব্যানারে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের যে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে তা একান্তভাবে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে সকল মত ও পথের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকাশ করেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. জামাল বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচন হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কী ধরনের মহা দুর্যোগের ভেতর দিয়ে দেশ চলেছে।

তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতিবিদসহ সমস্ত জায়গায় আমরা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি। সে কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো কারণ নাই, কোনো দরকারও নাই। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই জাতীয় সংসদে এই সংসদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে পারেন। না হয় অন্তত দুই বছর হলেও যেন বাড়ানো হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান সংসদের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব

সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকল সময়ই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান করে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে দৃঢ় ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন: অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী এ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে যে বক্তব্য ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তা সমর্থন করে না। এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য, শিক্ষক সমিতির বক্তব্য নয়।

অধ্যাপক জামাল সমিতির কার্যকরী সদস্য নয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্বাস করে সকল দল ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ও এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ