স্থগিত হলো ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভাইভা বোর্ড

স্থগিত হলো ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভাইভা বোর্ড
স্থগিত হলো ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভাইভা বোর্ড  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড নানা জল্পনা কল্পনা শেষে স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৭ মে বোর্ড বসার কথা থাকলেও সেটা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন বোর্ড সভাপতি ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড মাকসুদ কামাল। 

সোমবার (১৫ মে) সকালে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড মাকসুদ কামালের অফিস সহকারী মাহমুদা খানম সুমি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে, প্রশাসনের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও আবেদন প্রার্থীরা। বোর্ড বাতিল হয়ে নতুন বোর্ড আরও নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে এবং যোগ্য প্রার্থীই শিক্ষক হিসেবেই নিয়োগ পাবেন বলেই তাদের ধারণা। 

এর আগে, পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত হয়েও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে থাকছেন অধ্যাপক বাহাউদ্দীন শিরোনামে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক বাহাউদ্দীন গত বছরের ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার হন।

কিন্তু তারপরও তাকে নিয়োগ ভাইভা বোর্ডে রাখায় বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং উপ-উপাচার্য বরাবর একাধিক শিক্ষক ও আবেদন প্রার্থী অভিযোগ জানান। ফলে বোর্ডকে আরও নিরপেক্ষ ও নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠু করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানানো হয়।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একাধিক শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, একজন শিক্ষক যেখানে বিভাগের পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত, তিনি আবার শিক্ষক নিয়োগের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় বোর্ড মেম্বার হিসেবে কোনোভাবেই থাকতে পারেন না।

তাছাড়া তিনি বোর্ডে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো তার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সকল চেষ্টা করা ও অন্যান্য আবেদনকারীর ভাইবা কঠিন ও জটিল করা। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বোর্ড গঠনে অধ্যাপক বাহাউদ্দীনকে বোর্ড থেকে অপসারণ করাটাই সবচেয়ে প্রয়োজন ছিলো এবং সেটাই হয়েছে।  

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ সম্পাদকের বাবা নেই কমিটিতে, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি লাঞ্ছিত

অন্য একজন অধ্যাপক বোর্ড বাতিল হওয়ায় খুশি হয়ে বলেন, বোর্ড বাতিল হয়েছে এটি একটি ভালো সংবাদ। অধ্যাপক বাহাউদ্দীন থাকলে বোর্ড কখনোই সুষ্ঠু হবার সম্ভাবনা ছিলো না। তাকে বাদ দিয়ে উপ-উপাচার্য শিক্ষা অত্যন্ত ভালো একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন যে কেউ অন্যায়ভাবে নিজের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারবেন না।

তবে বোর্ড বাতিল হলেও জানানো হয়নি পরবর্তী সম্ভাব্য তারিখ। ফলে নিয়োগ পদপ্রার্থীরা পাচ্ছেন আরও কিছু সময় নিজের যোগ্যতাকে বিকশিত করার ও শিক্ষকদের সামনে নিজের প্রতিভা তুলে ধরার। 

ভাইভা বোর্ড স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ভাইবা বোর্ড নিরপেক্ষ নয় বা বহিষ্কৃত শিক্ষক নিয়ে ভাইবা বোর্ড গঠন হওয়া নিয়ে বিভিন্ন নিউজ প্রকাশিত হওয়ায় আমি উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে বোর্ড বাতিল করেছি। তবে সম্ভাব্য ভাইবা বোর্ড কবে বসবে এ নিয়ে কোন মন্তব্য তিনি করতে চাননি


সর্বশেষ সংবাদ