ঢাবি সাহিত্য সংসদের সেরা হল ও সংগঠকদের পুরষ্কার প্রদান

  © টিডিসি ফটো

প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ আয়োজন করেছে সেরা হল সাহিত্য সংসদ পুরস্কার ও সেরা সংগঠক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ২০২২ সালের কাজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪ জনকে সেরা সংগঠক পুরস্কার এবং একটি হল ইউনিটকে সেরা হল সাহিত্য সংসদ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। 

সোমবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির সেমিনারে এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

২০২২ সালের কার্যক্রম সাপেক্ষে পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন– তৈমুর রহমান মৃধা, সুহৃদ সাদিক, আমানউল্লাহ রিয়াজ এবং শ্যামল চন্দ্র রায়। আর ২০২২ সালে হল পর্যায়ে সেরা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সেরা হল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয় স্যার এ এফ রহমান হল সাহিত্য সংসদকে।

আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবির দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা বলেন, দর্শন চর্চার দৈন্যতা সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটা দৈন্যতা সৃষ্টি করেছে। দর্শন পড়লে নাস্তিক হয়ে যাবে বা কিছুই হবে না। এইধরনের কথা সাহিত্যে একটি প্রভাব ফেলেছে। অর্থাৎ, দর্শনের দৈন্যতা সাহিত্যকে দারিদ্র্যতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তার মানে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে হলে দর্শনকে আরও বেশি সমৃদ্ধ হতে হবে। এই দুটোর যখন সমন্বয় হবে, তখন আমাদের প্রাচ্যের দর্শন ও সাহিত্য মানুষের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।

তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আত্মাগুলো বইয়ের মধ্যে রয়েছে। কারণ টলস্টয়, কার্ল মার্ক্স, আব্রাহাম লিংকন এবং উইনস্টন চার্চিলরা এখন আর নেই। তারা আছেন এই বইয়ের মধ্যে। আমরা যখন বই পড়বো, তখন ওনাদের সাথে কথা বলব। ওনাদের সাথে কথা বলার মানে কী? আমরা নিজেদের সমৃদ্ধ করব। আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার বলেছেন– যারা বই পড়ে, তারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়। এই কথা যুগে যুগে প্রমাণিত হচ্ছে। আপনারা যদি বই পড়া থেকে পিছিয়ে আসেন, তাহলে এটা আপনাদের মধ্যে দারিদ্র্যতা তৈরী করবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি রাজীব কুমার দাশ, কথাসাহিত্যিক আনওয়ার এম হুসাইন, কবি ও কথা সাহিত্যিক নাহিদ নার্ম ও কবি তানজিন এ আলামিন।


সর্বশেষ সংবাদ