বিএনপি অবৈধ দল, মির্জা ফখরুল অবৈধ মহাসচিব: কাদের

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  © টিডিসি ফটো

বিএনপি একটি অবৈধ দল, মির্জা ফখরুল তার অবৈধ মহাসচিব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

বুধবার (২২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে অবৈধ দল ও মির্জা ফখরুলকে অবৈধ মহাসচিব উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপি একটি অবৈধ দল যা সামরিক ব্যারাক থেকে তৈরি হয়েছিলো। ফখরুল হলেন সেই ফলের অবৈধ মহাসচিব। বিএনপির সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে একজন মহাসচিব ১২ বছর ক্ষমতায় থাকবে। আমরা ৩ বার সম্মেলন করেছি কিন্তু তারা একটাও করেনি। তিনি আবার সরকারের পদত্যাগ চান, অথচ নিজেরই (মির্জা ফখরুল) পদত্যাগের সময় হয়ে গেছে। এই অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব ঘোষণা দিয়েছিলেন, তারা নাকি ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের পতন করে, তারেক জিয়াকে দেশে  এনে, দেশ দখল করে শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। অথচ তারা ঠিকভাবে নয়াপল্টনও পেলো না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে আছে। সামনেও যায় না, পিছনেও যায় না, বামেও যায় না, ডানেও যায় না। বিএনপির অবস্থা এখন কাদায় আটকে পড়া জয়নুল আবেদীনের গরুর গাড়ি। যাকে তারা চাইছে টেনে তুলতে কিন্তু সেটা এতটাই গভীরে আটকে আছে যে, সেটা আর উপরে উঠছে না। ফখরুল বলেছেন, আমরা নাকি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছি, অথচ মাগুরার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। যার শক্তি কমে যায় তার মুখের ভাষা উগ্র হয়ে যায়। এখন বিএনপির পালাবার কোনো পথ নেই। অস্ত্রোপচারের সাথে জড়িত চিহ্নিত অপরাধী তারেক রহমানকে মানুষ নেতা হিসেবে মেনে নিবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জিয়াউর রহমানকে শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পাঠক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা বাংলাদেশে কম হয়নি। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ে জয়ের মাধ্যমে ৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার অর্জন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো স্বাধীনতার ঘোষণার অধিকার ছিল না। এম এ হান্নান সহ অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পাঠক ছিলেন।  সর্বশেষ একজন সামরিক ব্যক্তি হিসেবে জনগণ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জোর করে জিয়াউর রহমানকে দিয়ে পাঠ করিয়েছিল। ঘোষণার পরে দৈনিক বাংলায় জিয়া বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণার পরে আমরা স্বাধীনতার 'সবুজ সংকেত' পেয়েছিলাম। অথচ তার দলের লোকেরা এমনকি তিনি নিজেও নিজের কথার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এসময় বিশেষ আলোচক হিসেবে আওয়ামী লীগের সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য প্রদান করেন।