সিনিয়র ছাত্রকে থাপ্পড়, জাবির দুই ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ অবৈধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৪১ PM , আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৪১ PM
কোনো ধরনের কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া সিনিয়র এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। দুই শিক্ষার্থী হলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের সুমাইয়া বিনতে একরাম ও আনিকা তাবাসসুম।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী এস এম আরিফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ মাহতাব। আদালতে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ২৬ জানুয়ারি দেওয়া বহিষ্কারাদেশের ভাষ্যমতে, ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে একরাম থাপ্পড় দেওয়া (শারীকিভাবে লাঞ্ছিত করা), অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অসদাচরণ করা প্রমাণিত হয়।
এছাড়া নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাসসুম মীমের বিরুদ্ধেও অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা এবং অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন ও ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিন বোর্ডের জরুরি সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একইদিন সিন্ডিকেটের জরুরি ভার্চ্যুয়াল সভায় দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়।
এর মধ্যে সুমাইয়াকে এক বছরের জন্য এবং আনিকা তাবাসসুমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন। তবে তাদের ফল প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন।
এ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কারণ দর্শানো ছাড়া বহিষ্কার করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এখন তাদের পরীক্ষার ফল ঘোষণাও কোনো বাধা নেই।