ঢাবিতে ছবি তুলতে এসে মারধরের শিকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০১:২৪ PM , আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০১:৩৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছবি তোলার সময় ফোন কেড়ে নেয় জিম নাজমুল নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এসময় বহিরাগতের তকমা দিয়ে চড়-থাপ্পড়ও দেয়া হয় ওই ছাত্রীকে। অভিযুক্ত জিম নাজমুল সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
এ ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক আগে ক্যাম্পাসের এক খিচুড়ি ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত নাজমুল। এ নিয়ে রাতেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
জানা যায়, রাতে ছবি তুলতে একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার নিয়ে ওই ছাত্রীসহ চারজন পুরান ঢাকা থেকে আসেন টিএসসি এলাকায়। রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছবি তুলার সময় হঠাৎ বাইকে এসে তাদের জেরা শুরু করেন নাজমুল। এক পর্যায়ে তিনি কৌশলে ফোন কেড়ে নেয় ওই ছাত্রীর হাত থেকে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পরিচয় দেয়া আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীও যোগ দেয় নাজমুলের সাথে। এর মধ্যে একজন বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদী। অভিযুক্ত নাজমুলকে হলে যাওয়ার জন্য তাড়া দেন তিনি। আর সবার কথায় এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পরে ওই ছাত্রী।
এ ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি, একটা ছেলে একটা মেয়েকে হিট করছে। এগিয়ে এসে দেখি, ওই ছেলে কন্টিনিউয়াসলি হিট করছে, মারধর করছে।
এ ঘটনার মধ্যেই সেখানে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একজন। তার অভিযোগ, মিলন চত্বরের খিচুড়ি বিক্রেতা বাশারের ফোন ও টাকা ছিনতাই করেছে ওই জিম নাজমুল।
দোকানদার বাশার জানান, বাইকের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখা ও বগুড়ায় নিবন্ধন হওয়া গাড়ির নম্বর মনে থাকায় তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
পরে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়েন জিম নাজমুল। তার পক্ষ নেয়া মেহেদীও তখন আর তাকে চেনেন না বলে দাবি করেন। বলেন, তাকে আমি চিনি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নাকি অপমান করছে তাই আসছি।
জানা গেছে, সূর্যসেন হলে থাকেন অভিযুক্ত নাজমুল। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। ফেসবুকে নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করা জিম নাজমুল রাতেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ করে দেন। তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে ঢাবি প্রক্টরিয়াল বডি।