দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসছে উপাচার্যদের সভায়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:১৮ PM , আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৫৭ PM
আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকবে কিনা সে বিষয়ে উপাচার্য পরিষদের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে নাকি পুরো সিলেবাসে হবে সে বিষয়েও ওই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আলোচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইস্যু বিবেচনা করবে ঢাবি
সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার পর বিষয়টি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে ভাবতে শুরু করেছে ইউজিসি। প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদকে চিঠি পাঠানো হবে। চিঠিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখা এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলা হবে। তবে কোনো কারণে সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত না আসলে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠকে বসবে ইউজিসি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে উপাচার্য পরিষদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে পরবর্তীতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠকে বসবো।
আরও পড়ুন: পাঠক্রম অনুযায়ী ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা: উপাচার্য
এদিকে ইউজিসির একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদকে চিঠি পাঠানো হবে। দ্রুত যেন তারা বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় চিঠিতে সেটি অনুরোধ করা হবে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আয়োজনের পরামর্শ দেন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে দায়িত্ব দেয়ার কথাও জানান তিনি।