ইউজিসির সাবেক সচিবের দায়িত্ব এখন ‘হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর’ করা

ড. ফেরদৌস জামান
ড. ফেরদৌস জামান  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি ইউজিসিতে শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে যাবেন। কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। 

বৃহস্পতিবার ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানিয়েছে, কমিশনের সাবেক সচিব এবং বর্তমানে রিসার্চ গ্রান্টস এন্ড এওয়ার্ড বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান-এর বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্ত গঠিত “ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি'র” প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ১৬৮ তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী ড. ফেরদৌস জামান- কে কমিশনের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে নিয়মানুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ সময়ে তিনি সকল কার্যদিবসে অফিসে হাজির হয়ে প্রশাসন বিভাগে রক্ষিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করবেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

জানা গেছে, বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে সত্যতা নিরূপণের নিমিত্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মো. আবদুল মজিদকে আহ্বায়ক করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং কমিশনের উপসচিব (লিগ্যাল) নুরনাহার বেগম শিউলীর সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্টস্ ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সুপারিশের আলোকে গত ২৯ জানুয়ারি ইউজিসির পূর্ণ কমিশন সভায় ড. ফেরদৌস জামানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কমিটির সার্বিক পর্যবেক্ষণ হলো- ইউজিসি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানে ড. ফেরদৌস জামান যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এমনটি একাধিকবার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাকে বারবার পদোন্নতি দিয়ে, চাকরি স্থায়ী করে, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক বিচ্যুতি যা চাকরি শৃঙ্খলার সুস্পষ্ট লংঘন। তাই এ বিষয়ে পূর্ণ কমিশনের সভায় উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করা আবশ্যক।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence