ইউজিসির সাথে জাতির পিতার নাম জড়িয়ে আছে: চেয়ারম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:২৮ PM , আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩১ PM
দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রসার ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তদারকির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
ইউজিসি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। আজ সোমবার ইউজিসিতে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভুইয়া।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার গুরুত্বকে অনুধাবন করেছিলেন। সে লক্ষ্যে তিনি ১৯৭৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের ইউজিসি পরিচালনার দায়িত্ব দেন।
তিনি আরও বলেন, ইউজিসির সাথে জাতির পিতার নাম জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর আধুনিক, গণমুখী, অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ইউজিসি কাজ করছে । দেশের উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিতমান নিশ্চিত করতে এবং ইউজিসিকে আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরুতে মাত্র ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকির দায়িত্ব ছিলো ইউজিসির। বর্তমানে দেশে পাবলিক, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধিতে ইউজিসি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুদ্ধাচার কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, উচ্চশিক্ষা সেবা সহজ করতে হবে এবং সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ও সময়নিষ্ঠ হতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসির উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামান। প্রশিক্ষণে ইউজিসির বিভিন্ন পর্যায়ের ৭৫ জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।