গুচ্ছ ভর্তির সংকট দ্রুত সমাধানের আহবান ইউজিসির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:১৩ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:১৩ PM
চলতি শিক্ষাবর্ষে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান সংকট দ্রুত সমাধানের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে শিক্ষার্থী-বান্ধব করার পরামর্শ দেন তিনি।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় “নলেজ ডমিনেটস দ্যা পিরিয়ড অব ফোরআইআর এন্ড আইওটি বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসি’র ইনোভেশন উইং আজ বুধবার দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কমিশনের আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অনাকাঙিক্ষত সংকট তৈরি হয়েছে। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে এই সংকটের কার্যকর সমাধান বের করতে হবে। তবে তিনি মনে করেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থী বান্ধব বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে এবং আধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যব্যবহার করা গেলে চলমান সংকট সমাধান করা সম্ভব।
শিক্ষার্থীরা যেন অনাকাঙিক্ষত ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য দ্রততম সময়ের মধ্যে পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মতো একটি ভালো আয়োজন যেন প্রশ্নের মুখে না পড়ে সেদিকে উপাচার্যদের সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দেন ইউজিসি’র এ সদস্য।
৪র্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে তিনি বলেন, এখন সময় ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী গ্রাজুয়েট তৈরির আহ্বান জানান। প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে দক্ষ মানুষ অদক্ষ মানুষের স্থান দখল করবে এবং চাকরির ধরনে ব্যপক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি জানান।
ইউজিসির ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট মো. রবিউল ইসলাম কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালায় কমিশনের ৩২ জন উপ-পরিচালক/ সমমান কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।