স্মার্টফোনের তথ্য নিরাপদ রাখতে পাঁচ পদ্ধতি

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত খুবই জরুরি
স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত খুবই জরুরি  © সংগৃহীত

স্মার্টফোন বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য সংরক্ষণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোনের ওপর অনেকেই নির্ভরশীল। কিন্তু এই ফোনই হতে পারে নজরদারি ও তথ্য চুরির বড় মাধ্যম।

তাই ফোনে থাকা তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি বিষয়। ফোনে থাকা তথ্যের নিরাপত্তায় পাঁচ পদ্ধতি আছে। জেনে নেওয়া যাক সেসব

অপ্রয়োজনীয় তথ্য মুছে ফেলা
তথ্যের নিরাপত্তায় ফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, বার্তা, ছবি বা ইমেইল মুছে ফেলতে হবে। ফোনে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা উচিত নয়। সেগুলো এনক্রিপ্টেড ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করার পর ফোন থেকে মুছে ফেলতে হবে। ব্রাউজারের হিস্টরি, কুকিজ ও ক্যাশ ফাইল নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। সংবেদনশীল কাজের জন্য ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করা যেতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট
ভ্রমণের সময় যেভাবে আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করা থেকে বিরত থাকি, ফোনেও তেমনি অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট করা থাকতে হবে। পাশাপাশি সংবেদনশীল ফাইল নিয়মিত মুছে ফেলার পাশাপাশি ক্লাউড ব্যাকআপ সুবিধা বন্ধ রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্রাউজার এক্সটেনশন ও অটো-ডাউনলোড সুবিধাও বন্ধ রাখতে হবে।

নিরাপদ যোগাযোগের অ্যাপ ব্যবহার
সাধারণ টেক্সট বার্তা এনক্রিপ্টেড নয়। এ জন্য সিগন্যাল বা এলিমেন্টের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধাযুক্ত অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। চাইলে প্রোটনের মতো এনক্রিপ্টেড ই-মেইল, ফাইল স্টোরেজ ও ভিপিএন টুল ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যাডভান্সড ডেটা প্রটেকশন সুবিধা ব্যবহার
অ্যাপল ও গুগল উভয় প্রতিষ্ঠানই ক্লাউড ডেটার ক্ষেত্রে উন্নত এনক্রিপশন সুবিধা দিয়ে থাকে। অ্যাপলের ‘অ্যাডভান্সড ডেটা প্রটেকশন’ চালু করলে আইক্লাউডের প্রায় সব ডেটাই এনক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকে, যার নিয়ন্ত্রণ থাকে শুধু ব্যবহারকারীর কাছে। গুগলও ‘অ্যান্ড্রয়েড’ ও ‘গুগল ওয়ান’ ব্যাকআপে ক্লায়েন্ট সাইড এনক্রিপশন চালু করেছে। আর তাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তায় অ্যাডভান্সড ডেটা প্রটেকশন সুবিধা ব্যবহার করতে হবে।

প্রাইভেসি স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার
তথ্যের নিরাপত্তায় ফোনের পর্দার ওপর প্রাইভেসি স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করতে হবে। এই প্রটেক্টর ব্যবহার করলে আশপাশে থাকা কোনো ব্যক্তি ফোনের পর্দায় থাকা তথ্য বা ছবি স্পষ্টভাবে দেখতে পারে না। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপদে থাকে। পাশাপাশি পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময়ও সতর্ক থাকতে হবে।

সূত্র : জেডডিনেট


সর্বশেষ সংবাদ