'ট্যাপ অ্যান্ড পে' যুগে বাংলাদেশ: জানুন গুগল পে’র সুবিধা ও অসুবিধা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ PM , আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ PM

বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনের জগতে নতুন ইতিহাস রচিত হতে চলেছে। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গুগল পে (Google Pay)খুব শিগগিরই দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। প্রযুক্তিপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই সেবা আগামী এক মাসের মধ্যেই চালু হবে, এমনটি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা গুগল পে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন তাদের ডিভাইসকেই একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
কীভাবে কাজ করবে গুগল পে?
গুগল পে ব্যবহার করতে প্রয়োজন একটি এনএফসি (NFC) ফিচারযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এবং সমর্থিত ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড। ব্যবহারকারীরা গুগল ওয়ালেট অ্যাপে তাদের কার্ড যুক্ত করলেই পয়েন্ট-অব-সেল (POS) মেশিনে ফোন ছুঁয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। এটি করতে কোনো কোড স্ক্যান বা কার্ড বের করার প্রয়োজন নেই, শুধ ট্যাপ এন্ড পে।
শুরুতে সিটি ব্যাংক
প্রাথমিকভাবে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা বাংলাদেশি মুদ্রায় ইস্যু করা ভিসা ও মাস্টারকার্ড গুগল ওয়ালেট অ্যাপে যুক্ত করতে পারবেন। ধাপে ধাপে আরও ব্যাংক এই সেবার আওতায় আসবে বলে জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
গুগল পে অ্যাপে সংবেদনশীল কার্ড তথ্য সরাসরি সংরক্ষিত হয় না। বরং প্রতিবার পেমেন্টের সময় ভার্চুয়াল কার্ড টোকেন তৈরি হয় এবং গোপনীয় তথ্য এনক্রিপ্ট করে লেনদেন সম্পন্ন হয়। এতে চুরি বা ক্লোনিংয়ের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
গুগল পে-র সুবিধাগুলো
কার্ডবিহীন লেনদেন
স্মার্টফোনই ডিজিটাল মানিব্যাগ
কন্টাক্টলেস পেমেন্ট
ফোন ছুঁয়ে সহজেই পেমেন্ট
আন্তর্জাতিক লেনদেন
ফ্রিল্যান্সার বা রেমিট্যান্স গ্রহীতাদের জন্য বড় সুবিধা
একাধিক কার্ড সংযোজন
মেট্রো পাস, পরিচয়পত্র, টিকিটও সংরক্ষণযোগ্য
স্মার্ট ওয়াচেও ব্যবহারযোগ্য
আরও পড়ুন: একবার ফোন চার্জে কত টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়?
সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ
শুরুতে সীমিত ব্যাংক সমর্থন
স্মার্টফোন চুরি বা হারিয়ে গেলে ঝুঁকি
এনএফসি টার্মিনালের ঘাটতি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়
আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যাংকভেদে ফি ১-৩% পর্যন্ত হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগল পে চালু হওয়া নোটবিহীন অর্থনীতির দিকে বড় পদক্ষেপ। বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেটের মতো মোবাইল ফিন্যান্স সেবার পাশাপাশি এই আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হলে বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেন আরও দ্রুত, নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত হবে।