অফিসের যে ৪ নিয়ম বাতিল করা এখন সময়ের দাবি

  © সংগৃহীত

দিনের দীর্ঘ একটা সময় অফিসে থাকতে হয়। কর্মক্ষেত্রে কিছু অলিখিত নিয়ম বা প্রথা থাকে। যতই অলিখিত বা অনুচ্চারিত হোক না কেন, সেসব নিয়ম কর্মক্ষেত্রকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ করে তোলে। বর্তমানে এসে এসব প্রথাগত নিয়মে হাঁপিয়ে উঠেছে অনেকেই।

অ্যাডাম গ্রান্ট, যিনি বিশ্বের নামকরা অরগানাইজেশনাল সাইকোলজিস্ট, একাধারে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক; তার গবেষণা মতে, অফিসকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে, এমন কিছু প্রথা রয়েছে। রিডার্স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

অফিসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ করে তোলে, এমন চারটি প্রথা হলো-

প্রতিদিন মিটিং
অনেক কর্মক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিষয়ে মিটিং চলতেই থাকে। ফলে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা। এসব মিটিংয়ের কার্যকারিতাও সামান্য। ফলে কর্মঘণ্টা নষ্টের পাশাপাশি, বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। তাই কর্মীদের করতে হয় ওভারটাইম। এতে কর্মীরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অ্যাডামের মতে, গড়ে সপ্তাহে এক দিন মিটিং অফিসের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন অফিস
বর্তমানে কায়িক শ্রমের তুলনায় মানসিক শ্রম বেশি করতে হয়। তাই কর্মীরা দ্রুত ক্লান্তও হয়ে পড়েন। তাই এই অ্যাডাম মনে করেন, আগের মতো ৫ থেকে ৬ দিন কর্মদিবসের বদলে চার দিনই যথেষ্ট। এশিয়ার বেশ কিছু দেশে সপ্তাহে চার দিন ‘ওয়ার্ক ডে’ রয়েছে। এর পাশাপাশি হোম অফিসের সুযোগ করতে পারেন কর্মীরা।

বস-প্রথা
যে কাজের স্বাধীনতা নেই, সে কাজ করে আনন্দ পান না কর্মীরা। প্রতিটি কাজের আগে বসের অনুমতি নেওয়া, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সুযোগ বর্তমানে নেই বললেই চলে। মনোবিজ্ঞানী অ্যাডামের মতে, আধুনিক কর্মক্ষেত্রে বস-প্রথার দিন এখন শেষ।

তথাকথিত চাকরির পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার
চাকরি জন্য লিখিত পরীক্ষা তারপর দফায় দফায় সাক্ষাৎকার দিতে হয়। ব্যাংকের চাকরির জন্য জানতে হয় মঙ্গোলিয়ার রাজধানীর নাম কী? অ্যাডামের মতে, এ ধরনের তথাকথিত চাকরির পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার বাদ দিতে হবে। চাকরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দক্ষতা যাচাই করতে সঠিক পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

সূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence