মাইগ্রেনের ব্যাথায় পলিটেকনিক শিক্ষকের আত্মহত্যা

শিক্ষক মান্না দে
শিক্ষক মান্না দে  © ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জ চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক বিভাগের শিক্ষক মান্না দে’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২২ মে) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে তার নিজ কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল করে বৃহস্পতিবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আশরাফুল আলম জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে মান্না দে তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছিলেন, মাইগ্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করা হচ্ছে। তার পাশের কক্ষের মো. শওকত হোসেন ও মো. জাহিদ হোসেন মান্নাকে বুধবার দেখতে না পেয়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে দরজায় নক করেন। পরে জানালা দিয়ে দেখতে পান মান্না দে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করে। মান্না দে সুইসাইড নোট লিখে গেছেন।

মান্না দে গোপালগঞ্জ চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি খাগড়াছড়ির দিঘীনালার থানাপাড়ার বাবুল দে’র ছেলে। মান্না দে’র রুমমেট মো. আলাউদ্দিন জুয়েল জানান, মাইগ্রেনজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রায়ই ছুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ