৩ দাবীতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানােন্নয়নের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ সমূহে ১৮ -২৩ বছরের অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকদের পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল প্রদানের দাবীতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা । 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ৬৪টি টিএসসিতে ২০০৪ সালের পর থেকে কোন কারিগরি শিক্ষক নিয়োগ প্রদান না করায় সরকারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য টিএসসিতে কর্মরত কারিগরি শিক্ষকগণ ৩-৪ গণদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নিয়মিত কোর্স ১ম ও ২য় শিফটের নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সাথে অতিরিক্ত কোর্স হিসেবে ২০১৭ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিনা পারিশ্রমিকে ৪বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সফলতার সাথে পরিচালনা করে ২০২১ সালে ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অনুকূলে ২৬৯৫ টি পদ এবং ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জন্য ৬৪০০টি নতুন পদ রাজস্ব খাতে সৃজন করলেও অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দীর্ঘ ১৮ বছর রাজস্ব খাতের চাকরি করে নিয়ােগ বিধি ২০২০ এবং সরকারি চাকরি আইনএর বিধি ৮(১) পদোন্নতির সকল শর্ত পূর্ণ থাকার পরেও দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই দক্ষ শিক্ষকগণকে পদোন্নতি প্রদান করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: ‘আত্মহত্যা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

টিএসসিতে কর্মরত শিক্ষকগণ দীর্ঘ দিন (প্রকল্পের চাকরি সহ ২২-২৩ বছর) চাকরি জীবন অতিবাহিত করায় তাদের মূলবেতন পদোন্নতির পর প্রাপ্য বেতন অপেক্ষা অধিক। তাই ঐ সকল শিক্ষকগণকে পদোন্নতি প্রদান করা হলে সরকারের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি পাবে না। এতে টিএসসিতে কর্মরত শিক্ষকগণের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।

নেতৃবৃন্দ আরও জানান, কর্মীদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে সরকার কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে থাকেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, টিএসসিতে কর্মরত শিক্ষকগণ ১৮ বছর রাজস্ব খাতের একই পদে কর্মরত থাকার পরও কোন সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল প্রদান করা হয় নাই। এতে করে দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষকগণ হতাশার মধ্যে রয়েছেন এবং আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

টিএসসিতে কর্মরত শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেডের দাবিতে বার বার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট পত্র ও দাবি জানানাে সত্ত্বেও দাবিসমূহ বাস্তবায়নের কোন রুপ দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো নতুন নিয়োগের চেষ্টা চলছে।

উক্ত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন পদোন্নতির আগ পর্যন্ত সকল প্রকার নিয়ােগ বন্ধ রাখতে হবে। নতুন নিয়োগের আগে ১৮ থেকে ২৩ বছরের অভিজ্ঞ কর্মরত শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের জোর দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি জনাব সিদ্দিক আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আইডিইবি এর সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জনাব মােঃ শামছুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল মোতালেব, আইডিইবি এর প্রচার সম্পাদক জনাব মােঃ সিরাজুল ইসলাম, চাকরি বিষয়ক সম্পাদক জনাব আবদুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জনাব গােলাম মোস্তফা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ স ম আহছান উল্লাহসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সকল পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দসহ আরও অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ