উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বিজয় দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ
বিজয় দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ  © টিডিসি ফটো

কোনো ভোটারকে ঘরে বসে থাকা যাবে না। প্রত্যেককে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা চাই অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন হোক। যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা চায়নি, তারাই আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন চাচ্ছে না।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিই এখন বাংলাদেশ ভালো থাকুক—তা চায় না। তারা দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে এসব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হোক বা নৌকার প্রার্থী হোক যে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে তিনিই সংসদে কথা বলবেন।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৫২ বছরেও অর্জিত হয়নি শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত গুণগত মান

বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয়েছে তখন কোনো মানবাধিকার সংগঠন কথা বলেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আজ গাজায় হাজার হাজার নারী শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে এখন মানবাধিকার কোথায় গেল? আমরা দেখেছি গাজায় যেমন হাসপাতালে হামলা করা হচ্ছে তেমনি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এই অপরাজনীতি মানুষ চায়না। মানুষ চায় উন্নয়ন। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বজায় রেখেছেন। যারা দেশের সম্পদ লুট করেছে তারা চায় না সাধারণ মানুষ শান্তিতে থাকুক।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

এছাড়াও বিজয় দিবসের ওই আলোচনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ