অভাবী মানুষদের পাশে আনন্দময় জীবন ফাউন্ডেশন

আনন্দময় জীবন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা
আনন্দময় জীবন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা  © ফাইল ছবি

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ও স্বপ্ন নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে আনন্দময় জীবন ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ শুরু হলে সরকার লকডাউন  ঘোষণা করে। যার ফলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষ জীবন জীবিকা হারিয়ে না খেয়ে দিন পার করতে থাকে। ঠিক তখনই এসকল অভাবী মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে কিছু তরুণ। 

সংগঠনের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চে  এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন ভাবে অলস সময় পার করছিল পরীক্ষার্থীরা, একই সময় দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। লকডাউনে মানুষের দুর্দশা দেখে মো: মুজতাবির হোসেন সিদ্ধান্ত নেন অলস বসে না থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।  তিনি বন্ধুদের সাথে আলাপ করলে তারাও ইতিবাচক সাড়া দেন, তবে লকডাউন, করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধি ও পরিবারের চাপে বন্ধুরা সরাসরি কাজে অংশ নিতে পারছিলেন না। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন ঘরে বসে অর্থ সংগ্রহ করবেন এবং বাহিরে কাজ করা সেচ্ছাসেবীদের হাতে এই অর্থ পৌঁছে দেবেন। এভাবেই যাত্রা শুরু করে আনন্দময় জীবন ফাউন্ডেশন। 

আরও পড়ুন: পরীক্ষা নেই, প্রতিযোগিতাও নেই! তবুও বিশ্বের সেরা শিক্ষাব্যবস্থা!

মো. মুজতাবির হোসেন (সেন্ট যোসেফ কলেজ) এর পাশাপাশি তার বন্ধু মুশফিকুর রহমান রাফিন (সিটি কলেজ), মিনহাজ ইসলাম অরিত্র (সেন্ট যোসেফ), নাসিফ ফুয়াদ আল আরিফ (সেন্ট যোসেফ কলেজ),  আল নুর (সিটি কলেজ কলেজ)  ও সামি উর রহমান সামি (সেন্ট যোসেফ)  মিলে এই ফাউন্ডেশন কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে তাদের ২০ জন স্থায়ী সদস্য ও ৫০ জন অস্থায়ী মেম্বার রয়েছে। । বর্তমানে গরিব ছেলে মেয়েদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ইফতার বিতরণ এবং "গাছ লাগাও কার্বন কমাও" ইত্যাদি কর্মসূচী চলমান রয়েছে। 

বর্তমানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো: মুজতাবির হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মুশফিকুর রহমান রাফিন এবং সামিউর রহমান সামি। এছাড়াও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের হেড হিসেবে আছেন মিনহাজ ইসলাম, নাসিফ ফুয়াদ ও আল নুর। 

"আজ আমাদের হাত ধরেই শুরু হোক এক নতুন করে জীবন বাচানোর গল্প" শ্লোগানকে সামনে রেখে গাছ লাগানো এবং দূষণ রোধে মানূষকে সচেতন করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে আনন্দময় জীবন ফাউন্ডেশন ।  

এ বিষয়ে মো: মুজতাবির হোসেন বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশন অনেক সল্প পরিসরে কাজ করে। আমারা যেহেতু প্রায় সবাই ১৮-১৯ বছরের তাই আমাদের প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন নেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি স্কুল লাইফ থেকে সবাইকে সামজিক প্রতিষ্ঠান গুলোয় অংশ নেওয়া উচিৎ। এতে যেমন শিক্ষার্থী মানসিক বিকাশ হয় এবং ছোট বেলা থেকে পর উপকাপ করার মনোভাব জন্মায়। তাছাড়া দেশের প্রতি তার যে দায়িত্ব আছে তা উপলব্ধি হয়। আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা আরো কিছু এলাকা নিয়ে কাজ করব এবং আমাদের আরো মেম্বার বৃদ্ধি করব যারা কিনা প্রতিমাসে ছোট ফী এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যুক্ত থাকবে। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকার কতৃক নিবন্ধন পাবার পর বন্যা কবলিত এলাকা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে আমাদের।


সর্বশেষ সংবাদ