মেক্সট বৃত্তি পেয়ে জাপান যাচ্ছেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রাজিব

মো. মাজহারুল ইসলাম রাজিব
মো. মাজহারুল ইসলাম রাজিব  © সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম রাজিব জাপানের সরকারি স্কলারশিপ মেক্সট পেয়ে মাস্টার্সের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি জাপানের সরকারি স্কলারশিপ মেক্সট বা মনবুকাগাকুশো পেয়ে ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র‍্যাজুয়েট স্কুল অফ সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এপ্লাইড কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মাস্টার্স করতে নির্বাচিত হয়েছে।

এটি জাপানিজ সরকারী স্কলারশিপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রকম টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি বা অন্যান্য কোনো ফি দিতে হয় না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় ফি মওকুফ এবং পাবলিক বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করে দেশটি। মাসিক উপবৃত্তি, বিমানে যাতায়াত খরচসহ নানা সুযোগ-সুবিধা মেলে এ বৃত্তি পেলে। 

মো. মাজহারুল ইসলাম রাজিব বলেন, সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার একাডেমিক সুপারভাইজার ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্যারের প্রতি, সায়মা সাবরিনা ম্যামের প্রতি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাকে সাহায্য করেছেন। তাদের দিক নির্দেশনা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করার কারণে আজকের এই অর্জন। এছাড়া কামরুজ্জামান স্যার, নোবেল ভাই, আমার পরিবার, আমার সকল শিক্ষক, বড় ভাই, বন্ধু, ছোট ভাইবোন সবার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং যে কোন বিষয়ে আমাকে উৎসাহ যোগায়। তাই আমার অর্জন সবার। এই অর্জনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই, আমি যেন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো ভালো অর্জন নিয়ে আসতে পারি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী নিচ্ছে। আমি ২০ ডিসেম্বর স্কলারশিপের জন্য আবেদন করি এবং ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা দেই। এরপর ফলাফলের প্রকাশ করা হয়। সিজিপিএ, পাব্লিকেশন, আর রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্সের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
 
রাজিবের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহের কালাদহ গ্রামে। মধুপুর শহীদ স্মৃতি হাই স্কুল থেকে থেকে এসএসসি এবং মধুপুর শহীদ স্মৃতি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে আইসিডিডিআরবিতে রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে আছে প্যারাসাইটোলজি ল্যাবে কর্মরত আছেন।

প্রসঙ্গ, ১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে বিশ্বের ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত। এ বৃত্তির জন্য ভিসা পেলে ভিসায় লেখা থাকে ‘গভট. স্কলার’। জাপানের গবেষণার মাধ্যমে বৃত্তি প্রাপ্তির দেশ এবং জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হয়ে ওঠা মানবসম্পদকে উৎসাহিত করা এবং উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যেই দেওয়া হয় এ বৃত্তি।


সর্বশেষ সংবাদ