‘২০০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখবেন সায়মা ওয়াজেদ’

সায়মা ওয়াজেদ
সায়মা ওয়াজেদ  © ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে ২০০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ গুরুত্বপূর্ণ পদ অর্জন ও বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম কালাজ্বর এবং ফাইলেরিয়া মুক্ত ঘোষিত হওয়া উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের দিল্লীতে ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিরাট ব্যবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে জয়লাভ পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই সাফল্য ও অর্জন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় ২০০ কোটি মানুষের ১১টি দেশের প্রতিনিধিদের ৮টি দেশের প্রতিনিধি সায়মা ওয়াজেদকে ভোট দেওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিই আস্থা রেখেছে। এজন্য সায়মা ওয়াজেদের এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই সাফল্য।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করবো সায়মা ওয়াজেদ দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন। উনার যে অভিজ্ঞতা আছে, জ্ঞান ও শিক্ষা লাভ করেছেন, সেসব দিয়ে এই অঞ্চলের ২০০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন। আগামীতে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত হবে।

বাংলাদেশের এখন আরও বেশি সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পৃথিবীর ছয়টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ জনগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসবাস করে। সেই অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী জানুয়ারি থেকে তিনি তার কার্যক্রম শুরু করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্ব প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ ও ফাইলেরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কালাজ্বরে প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের মানুষ আক্রান্ত হয়। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। প্রতি বছর কালাজ্বরে বিশ্বে ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়। অনেক মানুষ মারাও যায়। কালাজ্বরে আক্রান্ত হয় এমন ১০০টি দেশের মধ্যে ১৩টি দেশের আক্রান্ত হার ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ আক্রান্তের ঝুঁকিতে ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন কালাজ্বর মুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেল। এটি আমাদের একটি জাতীয় অর্জন। তবে, এই অর্জন ধরে রাখতে পারাটাই হবে আমাদের আগামীর চ্যালেঞ্জ।

ব্রিফিংয়ে ফাইলেরিয়া রোগের বিস্তার সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলায় ফাইলেরিয়া সংক্রমণের হার ছিল সর্বোচ্চ ২০ ভাগ। এই রোগটিকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথোপযুক্ত উদ্যোগে নির্মূল করে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ