বাকৃবির সমাবর্তনে একসঙ্গে স্বর্ণপদক পেলেন দুই ভাই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:১০ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:১০ PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পেয়েছেন দুই ভাই। তারা হলেন আরিফ সাকিল ও আরিফ সাদিক। রোববার (১২ জানুয়ারি) তাদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন সমাবর্তনের অতিথিরা।
জানা যায়, সাকিল ও সাদিক ২০১১–২০১২ সেশনে ভর্তি হন বাকৃবির কৃষি অনুষদে। এরপর ছিলেন একই হলের একই রুমে। ছাত্রজীবন শেষ করে দুই ভাই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের মধ্যে বাকৃবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন আরিফ সাকিল। তিনি ইতোমধ্যে জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেছেন।
আরেক ভাই আরিফ সাদিক এখন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মাইক্রোগ্রিনস ও উদ্ভিদের লবণাক্ততা সহনশীলতার ওপর গবেষণা করছেন তিনি। বৃত্তি নিয়ে জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোগ্রিনস নিয়ে গবেষণা করে এসেছেন। এখন পিএইচডির জন্য লেখালেখি করছেন।
স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়ে আরিফ সাকিল বলেন, আমি আর আমার ভাই আরিফ সাদিক একসঙ্গে বাকৃবিতে পড়েছি। আপন ভাইকে রুমমেট, ব্যাচমেট হিসেবে পাওয়া এমনিতেই দারুণ একটা ব্যাপার। একসঙ্গে দুজন এবার স্বর্ণপদকও পাচ্ছি। ক্যাম্পাসজীবনটা দারুণ কেটেছে। ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার, লেকের জলে মাছ ধরা, আমবাগানে রাতে ভূত এফএম শোনা, বিজয় একাত্তর ও শাপলা চত্বরের পাদদেশে গানের আসর, কেআর মার্কেট ও ফসিলের মোড়ের চায়ের আড্ডায় কখন যে পার করেছি জীবনের ছয়টি বসন্ত, বুঝতেই পারিনি।
পরীক্ষার আগে বন্ধুরা আমাদের দুই ভাইয়ের কাছে আসত পড়া বোঝার জন্য। বুঝত, সাজেশন নিত। সবাইকে বোঝাতে বোঝাতেই আমাদের অনেকখানি পড়া হয়ে যেত। এখন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছি। ইতিমধ্যে জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছি। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রেখে আলোকিত মানুষ তৈরির কারিগর হতে চাই।
ভাই আরিফ সাদিক সম্পর্কে সাকিল বলেন, সে এখন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মাইক্রোগ্রিনস ও উদ্ভিদের লবণাক্ততা সহনশীলতার ওপর গবেষণা করছে। সে-ও বৃত্তি নিয়ে জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোগ্রিনস নিয়ে গবেষণা করে এসেছে। এখন পিএইচডির জন্য লেখালেখি করছে।
প্রসঙ্গত, এবারের সমাববর্তনে ৬ হাজার ৫২২ জন গ্রাজুয়েটের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৪ জন পেয়েছেন স্বর্ণপদক। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ায় আরও ৪৯ জন পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা।