মেডিকেল ভর্তিতে আস্থার শীর্ষে রেটিনা

২০২১-২২ শিক্ষাবর্শে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্সপ্রাপ্তদের একাংশ
২০২১-২২ শিক্ষাবর্শে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্সপ্রাপ্তদের একাংশ  © ফাইল ফটো

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের একটি বড় অংশের লক্ষ্য থাকে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়ার। তবে ভর্তিচ্ছুর তুলনায় মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা কম হওয়ায় নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে হয় কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। দীর্ঘ প্রস্তুতি ছাড়া এই পরীক্ষায় সফল হওয়া অসম্ভব। আর এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে সঠিকভাবে তৈরি করতে প্রয়োজন এমন একটি গাইডলাইন যা একজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে।

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই নির্দেশকের ভূমিকাই সফলভাবে পালন করে যাচ্ছে দেশের স্বনামধন্য মেডিকেল কোচিং সেন্টার রেটিনা। ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরুর পর নিজেদের আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে রেটিনা। বিভিন্ন স্বনামধন্য হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকসহ বর্তমানে মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।

মূলত কিছু কৌশলী পদক্ষেপ, দায়িত্ববোধ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতাই রেটিনাকে অন্যান্য কোচিং সেন্টার থেকে পৃথক করেছে। রেটিনার জনসংযোগ কর্মকর্তা মিরশাদ মাহমুদ বলেন, ‘জীবনে কখনো এমনও সময় আসে, মানুষ একটুখানি দিক-নির্দেশনার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। খুব বেশি করে চায়, যেন কেউ তার হাত ধরে শঙ্কাকুল সময়টুকু পার করে দিক। একটু সাহস যোগাক। আমরা মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য এই ভূমিকাটিই পালন করে থাকি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতি মুহূর্তের ভাবনা শিক্ষার্থীদের কল্যাণ। অসদুপায় অবলম্বন করে রাতারাতি সুনাম-সুখ্যাতি অর্জনের কু-চিন্তাকে আমরা কখনোই প্রশ্রয় দেইনি । আমরা সর্বদা শিক্ষার্থীদের সাহস প্রদান করি অশুভের বিরুদ্ধে দিনান্ত লড়াইয়ের। আমরা আমাদের সমগ্র পাঠ প্রক্রিয়া এমনভাবে তৈরি করি যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সততার সাথে মেধা এবং প্রচেষ্টা দিয়ে সফল হতে পারে।’ 

রেটিনার একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক কিছু বাদ দিয়েও সফল হওয়া যায় কিন্তু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতে বিপুল পরিমাণ তথ্য জানতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একেক বইতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় এসকল তথ্য একত্রিত করাটাও অত্যন্ত কঠিন বিষয় এবং স্বল্প সময়ে রীতিমতো অসম্ভব। আর এই কঠিন কাজটিই শিক্ষার্থীদের জন্য করে দেয় রেটিনা। রেটিনার বইগুলোতে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একত্রিত করা থাকে। একইসাথে রেটিনার ক্লাস সমূহে প্রতিটি বিষয় ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয় এবং তথ্যগুলো মনে রাখার কৌশল শিখিয়ে দেয়া হয় যা শিক্ষার্থীদেরকে তথ্যগুলো আত্মস্থ করতে সহযোগিতা করে।

মাহি নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘অন্যান্য কোচিং সেন্টারগুলোর সাথে রেটিনার বড় পার্থক্য হলো- মডেল টেস্টের প্রশ্ন। রেটিনা সাধারণত এমন ধরনের প্রশ্ন করে যা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে অনেক বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর এই বিষয়টি ভর্তি পরীক্ষায় রেটিনার শিক্ষার্থীদের অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি রেটিনা পরীক্ষাগুলো তাদের ২০ টি শাখার সমন্বয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ে থাকে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে মেধাতালিকা তৈরি করে। ফলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই একজন শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় তার অবস্থান দেখে প্রস্তুতির ধরন সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’

এ বিষয়ে রেটিনার এক শিক্ষক বলেন, ‘প্রতিটি পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি সঠিকভাবে যাচাই করতে রেটিনা প্রতিজ্ঞ। রেটিনার ক্লাস টেস্ট, টিউটোরিয়াল ও মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার অনুকরণে। আমরা কখনোই এমন প্রশ্নে পরীক্ষা নেই না যা অতিরিক্ত সহজ, শিক্ষার্থীদেরকে বায়বীয় আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্তে পৌঁছে দেয় কিংবা অতিরিক্ত কঠিন প্রশ্ন যা শিক্ষার্থীদের হতাশা বাড়িয়ে তোলে। মানসম্মত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের আলোকে প্রণীত প্রশ্নপত্র সলভ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য হয়ে উঠে।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ না করে ফেলে একারণে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষনে৷ ছাত্র এবং ছাত্রীদের আলাদা ব্যাচে ক্লাস করানো সহ নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক অবস্থা এসএমএসের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানো হয়। পাশাপাশি প্রায় নিয়মিত অভিভাবকদের নিয়ে অনলাইন-অফলাইনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ওই শিক্ষক আরও জানান, আমরা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তির সুবিধা দিয়ে থাকি। কোনো দরিদ্র মেধাবী যদি অর্থের অভাবে কোচিংয়ে ভর্তি হতে না পারে তবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে থাকে রেটিনা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সমগ্র দেশে রেটিনার ২০ টি শাখা রয়েছে। দেশের স্বনামধন্য সরকারি মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। বিগত তিন শিক্ষাবর্ষে এই কোচিং সেন্টারটি থেকে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। এদের মধ্যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সেরা ২০ জনের ১৬ জনই ছিল রেটিনার শিক্ষার্থী। এই শিক্ষাবর্ষে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৬৩ জন এবং সকল মেডিকেল কলেজে ৩ হাজার ৩০০ এর অধিক শিক্ষার্তী চান্স পেয়েছে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সেরা ২০ জনের ১৪ জনই ছিল রেটিনার শিক্ষার্থী। এই শিক্ষাবর্ষে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৫৫ জন এবং সকল মেডিকেল কলেজে ৩ হাজার ১০৩ জনের বেশি চান্স পেয়েছেন। এছাড়া ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সেরা ২০ এ ১৪ জন, ডিএমসিতে ১২৯ জন সহ মোট ৩ হাজার ৫১ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence