ছাত্রলীগ পিটিয়ে শাস্তি পাচ্ছেন পুলিশের ১৩ সদস্য

বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ
বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ  © ফাইল ছবি

বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় করা কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি বরগুনা থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি ১৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। ওই সুপারিশ নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদরদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।

ডিআইজি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একজন পরিদর্শক, তিনজন এসআই, চারজন এএসআই ও চারজন নায়েক/কনস্টেবল রয়েছেন।

আরও পড়ুন: বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা

এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তবে তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে।

এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরদিন ১৬ অগাস্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রথমে বরিশাল রেঞ্চে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। পরদিন ১৭ অগাস্ট আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে বরগুনা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ছাড়া ঘটনার পর পরই পুলিশের বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এর প্রধান ছিলেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমান। অন্য সদস্যরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা-বামনার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তোফায়েল হোসেন এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন।

ডিআইজি বলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন চাকরি বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ পেয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ