হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ গ্রাফিতি

ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ গ্রাফিতি
ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ গ্রাফিতি  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হল শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘চিরবিস্ময় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক গ্রাফিতি উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকেলে গ্রাফিতিটি উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আকরাম হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগে সাবেক সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ প্রমুখ। ৪৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ‘চিরবিস্ময় বঙ্গবন্ধু’ গ্রাফিতিটি বঙ্গবন্ধু হলের প্রবেশপথে হলের মূল ভবনের গায়ে আঁকা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘটনাস্থল কুড়িল: সেই মিম, এই মীম

ফিতা কেটে উদ্বোধন করছেন অতিথিরা

গ্রাফিতি উদ্বোধন পরবর্তীতে হল সংলগ্ন মাঠে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান শান্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির কান্ডারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববাসীর জন্য অনুকরণীয়। তিনি জনগণের রাজনীতি করতেন। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব আমাদের দেশের ভিত্তি গড়েছে। বঙ্গবন্ধুর আইকনিক নেতৃত্ব আমরা ভিন্নধর্মী শিল্পকর্ম গ্রাফিতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগ এ ধরণের সৃজনশীল কাজের ধারা অব্যহত রাখবে।

New Project - 2022-04-01T195813.682
ফিতা কেটে উদ্বোধন করছেন অতিথিরা

উল্লেখ্য, গ্রাফিতি হলো সাধারণ কোনো চিত্রকর্ম বা দেয়াল লিখন, যাতে শিল্পীর সূক্ষ্ম বার্তা লুকনো থাকে। দেশে দেশে সামাজিক অবিচার, সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিল্পীরা গ্রাফিতির মাধ্যমে তাদের বার্তা সমাজে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। শান্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান ফুটে ওঠে কোনো কোনো দেয়ালচিত্রে। ব্যঙ্গ-বিদ্রুপাত্মক চিত্রের মাধ্যমে সমাজের বাস্তবতাও শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে নিখুঁতভাবে তুলে আনেন। মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে গ্রাফিতিও বিকশিত হয়েছে, বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রাচীন গুহাচিত্র থেকে শুরু করে আজকের বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা ‘সুবোধ’ পর্যন্ত পথচলায় গ্রাফিতি হয়ে উঠেছে সাধারণ চিত্রকর্ম থেকে প্রতিবাদের ভাষা।


সর্বশেষ সংবাদ