ভিসির আশ্বাসে অন্দোলন থেকে সরলেন বাকৃবির ছাত্রীরা

  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভিসির আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি থেকে সরে আসলেন লাঞ্ছনার অভিযোগে আন্দোলনরত ছাত্রীরা। আজ শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অফিসে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করে বিষয়টি সাতদিনের মধ্যে মীমাংসা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর ছাত্রীরা তাদের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

এর আগে সকালে স্বাধীনতা দিবসের র‍্যালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের পদপ্রত্যাশী নেতা খন্দকার তায়েফুর রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ তোলে। লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অভিযুক্ত নেতার বহিষ্কার ও বিচার দাবি করেন তারা।

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত ও অভিযুক্ত গ্রুপের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনাস্থলে তায়েফ রিয়াদের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আমাদের বাধা প্রদান করেন। এক পযার্য়ে তায়েফ রিয়াদসহ কয়েকজন একাধিক ছাত্রীর গায়ে হাত তোলেন। ওই ঘটনায় বাকৃবির শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা অপমাণিত, লাঞ্ছিত ও সংক্ষুব্ধ। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার অতি দ্রুত বিচার করে তায়েফ রিয়াদসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তায়েফ রিয়াদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এমন কিছুই হয়নি। বরং মেয়েরা হলের সিনিয়র নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকে হেয় করার জন্য এমন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ