আওয়ামী লীগের মধ্যে আরও অনেক মুরাদ আছে: বিন ইয়ামিন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৪৯ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:১১ PM
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ক্ষমতার বড়াই চিরদিন থাকে না। আমরা দেখলাম মুরাদ লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো দাঁত কেলিয়ে হেসে হেসে যাকে-তাকে, যেখানে-সেখানে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আমরা শুরু থেকেই এই লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার চাবুক টেনে ধরার কথা বলে আসছিলাম। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা শুনলেন না। এই মুরাদ একাই এক মুরাদ নয়।এর মতো আরও অনেক মুরাদ আওয়ামী লীগের ভিতরে বসবাস করছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুরাদের পাগলামি মানুষকে এমনভাবে আক্রমণ করেছে যার কারণে মানুষের ভিতরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যার চাপ সামলানোর জন্য আপনারা তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
মুরাদের বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই অপদার্থ, ইতর কেবল মন্ত্রী পরিষদ থেকে অপসারণ করলে হবে না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানাই নৈতিক পদস্খলনের দায়ে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হোক এবং অতি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ গত বার বছরে এ দেশের শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আর্থিক খাতকে ধ্বংস করে ফেলেছে। গত পাঁচ বছর ধরে মন্ত্রীরা যেরকম মন্তব্য করছে তাতে মনে হয় সংসদকে তারা নাট্যশালায় পরিণত করেছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই মুরাদকে শুধু বহিষ্কার করে নয় তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা, মন্ত্রী-এমপিরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যখন দুর্নীতি করে তখন তাদেরকে শুধু তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের কখনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হয় না।যার ফলশ্রুতিতে এই সব পদে যারাই তারাই মনে করে এসব অপকর্ম করলে কিছুই হবে না।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, দু’দিন তিনদিন পরে আমরা কোন নাটক দেখতে চাই না। আমরা চাই তাকে অতিসত্বর আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক দেয়া হোক এবং সে যাতে কোনোভাবেই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে এসে আবার সেখানে এসে শেষ হয়।