জুলাই হত্যা: মৃত্যুর ২০৩ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৭ PM , আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪১ PM

রাজধানীর রামপুরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন (৩৫) নামে এক লন্ড্রি ব্যবসায়ী। এ ঘটনার ২০৩ দিন পর কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে পূর্ব রামপুরা কবরস্থান থেকে মোসলেম উদ্দিনের মরদেহ উত্তোলন করে সিআইডি।
নিহতের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী লন্ডির দোকানের মালিক ছিলেন। গত ১৯ জুলাই দুপুরের দিকে বাসায় ফেরার পথে বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তখন আমরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে গিয়ে দাফন করেছিলাম। পরে এ বিষয়ে রামপুরা থানায় মামলা হলে আজ দুপুরের দিকে পুলিশ এসে পূর্ব রামপুরার কবরস্থান থেকে আমার স্বামীর লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।’
নাসরিন আক্তার আরও বলেন, ‘আমার ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ২২ দিন আগে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। আমার স্বামী লালমোহনের ভোলা সদর উপজেলার গজারিয়া পাঙ্গাসিয়া গ্রামের আব্দুল হানিফের ছেলে। বর্তমানে আমরা রামপুরার জাকের রোড এলাকায় ভাড়া থাকি।’
ডিএমপি সিআইডির পূর্ব (জোনের) কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আমির হোসেন বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই আড়াইটার দিকে রামপুরা বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মোসলেহ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। পরে তাঁকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা দাফন করে। এ বিষয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফ উদ্দিন মিয়ার নির্দেশে পূর্ব রামপুরার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করি।’
নিহতের শরীরের বুকের ডানপাশে গুলির জখমের চিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় ও মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিতকরণে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।’