নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রাতেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্রলীগের৷ নেতাকর্মীরা
ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্রলীগের৷ নেতাকর্মীরা  © সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে মিছিলটি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, মিছিলটি ধানমন্ডি ৩২ হয়ে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় ঘুরে আবার ৩২ নম্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, উপ-শিক্ষা সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, উপ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা ও সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তামজিদ ভূঁইয়া মেঘ, মাস্টার্স দা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব অংশ নেন। 

এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ এর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।

এই অবস্থায় সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ