গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ রাশেদকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন ছাত্রদল নেতারা

গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ রাশেদকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন ছাত্রদল নেতারা
গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ রাশেদকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন ছাত্রদল নেতারা  © সংগৃহীত

স্বৈরশাসকের পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন কুমিল্লার বড়ুরা উপজেলার একবাড়িয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম। ৫ দিনের সন্তানকে হাসপাতালে রেখে গত ৪ আগস্ট গাজীপুরের সফিপুরে শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর প্রায় দু’মাস হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছিলেন তিনি।

অবশেষে আজ বুধবার (২ অক্টোবর) রাশেদকে চিকিৎসা শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বাড়িতে পৌঁছে দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ ও দপ্তর আহমেদ উল্লাহ সজীব ভুঁইয়া।

জানা যায়, গাজীপুরে রাশেদুল ইসলাম পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। কুমিল্লার একটি হাসপাতালে সদ্য ভূমিষ্ঠ ৫ দিনের সন্তানকে রেখে গত ৪ আগস্ট হাসিনা পতনের এক দফা আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে রাজপথে মিছিলে অংশ নেয় রাশেদ। এসময় সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাশেদের খোঁজ খবর রেখে আসছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম। 

ছাত্রদলের নেতারা জানান, দীর্ঘদিন পর চিকিৎসা শেষে পিতৃহারা রাশেদের মা ও স্ত্রী অসুস্থ থাকায় বাসায় ফিরিয়ে নেয়ার মতোও কেউ ছিল না। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ ও দপ্তর আহমেদ উল্লাহ সজীব ভুঁইয়া রাশেদকে তার কুমিল্লার নিজ বাসায় পরিবারের কাছে দিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে অমর একুশে হল ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ বলেন, সাধারণ ছাত্র ও জনতার প্রতিনিধিত্ব করে বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে ভূমিকা রেখেছে ছাত্রদল। এছাড়া অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষে হাসপাতালে সহযোদ্ধাদের সেবায় এগিয়ে এসেছি আমরা। এরই অংশ হিসেবে রাশেদকে তার কুমিল্লার নিজ বাসায় পরিবারের কাছে দিয়ে এসেছি।

রাশেদুল ইসলাম বলেন, দেশের কল্যাণে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। এই কল্যাণ করতে গিয়ে দীর্ঘ দু’মাস হাসপাতালের বেডে শুয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটা সুস্থ। আমি আবারও পরিবারের কাছে ফিরেছি। এসময় অনেকে খোঁজ-খবর নিয়েছে। তবে ছাত্রদলের কল্যাণে তারেক রহমানের কাছ থেকে এসময় আমি সহযোগিতা পেয়েছি। আমি তার জন্য দোয়া করি যাতে তিনি শিগগির দেশে ফিরে এসে জনগণের সেবা করতে পারেন।


সর্বশেষ সংবাদ