আ.লীগের অনুপ্রবেশের শঙ্কায় ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ কর্মসূচি স্থগিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ AM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ AM
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত হওয়া ও স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার কর্তৃক আয়নাঘরে নির্যাতিত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর মহান জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবীর প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি হওয়া মবের প্রতিবাদে আজ ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। কিন্তু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা কর্মসূচির মধ্যে ঢুকে নিজেদের পুনর্বাসনের পায়তারা করায় এ আয়োজন স্থগিত করে আয়োজকরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজন স্থগিতের কথা জানায় ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ এর আয়োজক নুমান আহমাদ চৌধুরী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সকল পেশার মানুষদের নিয়ে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে নিন্দা প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কর্মসূচি ঘোষণার পরই অনলাইন ও অফলাইনে আমরা ব্যাপক সাড়া পেতে থাকি | কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা আমাদের কর্মসূচির মধ্যে ঢুকে নিজেদের পুনর্বাসনের পায়তারা করছে। পাশাপাশি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং কর্মসূচি ৫ই আগস্ট (স্বৈরাচার পতনের দিন) থেকে পিছিয়ে আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি মিসকমিউনিকেশনের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের 'শহীদী লংমার্চ' এর সাথে উক্ত কর্মসূচি একই দিনে প্রায় কাছাকছি সময়ে হওয়ায় জনমনে কিছু ভুল ধারণার জন্ম হয়েছে বলেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা জানাতে চাই 'শহীদী লংমার্চ' এর সাথে আমাদের আয়োজন কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক ছিল না এবং নয়।
আমরা আয়োজকবৃন্দ ঐক্যমতের সাথে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলছি আমাদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন প্রকৃয়াকে আমরা কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে রাজি নই। বিগত প্রায় ১৬ বছরের দুঃশাসন ও জুলাই গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের ক্ষেত্রে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অবলম্বন করছি ।
আমাদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র আওয়ামীলীগের পরিকল্পনা দেখে আমরা আভাস পাচ্ছি যে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভয়ানক সংঘর্ষ ও জনমানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমাদের কর্মসূচি কখনোই দেশ ও জনগনের ক্ষতিকে উপেক্ষা করে হতে পারে না। তাই দেশ ও জনগনের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা আজকের 'সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত' কর্মসূচিটি আয়োজকদের সর্বসম্মতিক্রমে আপাতত স্থগিত রেখে পিছিয়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দেশ ও জনগনের নিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থ আমাদের কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে তবে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবীর বিরুদ্ধে আমরা ছিলাম, আছি থাকব। আমাদের কর্মসূচি পিছিয়ে গেছে তবে বাতিল করা হয়নি। অতি শীঘ্রই উপযুক্ত দিন সময়ে আমরা কর্মসূচি আয়োজন করব যা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। উক্ত কর্মসূচিতে আপনাদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য ।