মেয়াদোত্তীর্ণ শেকৃবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ১ নভেম্বর
- রাকিবুল ইসলাম, শেকৃবি
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০১ AM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০১ AM
এক বছর মেয়াদী কমিটি গিয়ে ঠেকেছে ৬ বছরে। তবুও হয়নি নতুন সম্মেলন। মাঝে গেল বছরের ২৯ জুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও সেটি আগের দিন স্থগিত করে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। এ অবস্থা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের। অবশেষে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১ নভেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
এর আগে, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এস এম মাসুদুর রহমান মিঠুকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করে তৎকালীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটির দায়িত্বশীলদের ওপর তিন মাসের মধ্যে এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ ছিল। তবে মিঠু-মিজান এই আংশিক কমিটি দিয়েই তাদের এক বছর মেয়াদ পূর্ণ করে।
এরপর মেয়াদোত্তীর্ণ পদ ধরে রাখতে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ বছর ২ মাস পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২২২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিরও মেয়াদ ১ বছর আগে শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করতে ২০২২ সালের ২৯ জুন শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জয়-লেখক কমিটি। তবে অদৃশ্য শক্তির চাপে সে সময় তারা সম্মেলন স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: কর্মী শূন্যতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ
শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা শাখার মর্যাদা পেয়ে থাকে। সে অনুসারে শেকৃবিকে জেলা শাখার সমতুল্য বলে গণ্য করা হয়। গঠনতন্ত্রের প্রথম ভাগে সংগঠন ও সাংগঠনিক কাঠামোর ১০ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে ওই সময়ের মধ্যে নবনির্বাচিতদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এ সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে পদ প্রত্যাশীদের চাওয়া ছিল সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্ব। সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে নির্বাচনকে সামনে রেখে শেকৃবিতে সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ছাত্রত্ব আছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করে এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এমন কর্মীদের সাথে নিয়ে একটি জাঁকজমকপূর্ণ সুষ্ঠু সমাবেশের আয়োজন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’