ঢাবিতে মির্জা ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ করল ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা

  © টিডিসি ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জন্য নিয়োগ পাওয়া চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্রলীগের নারী নেতাকর্মীরা।  আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস-বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তারা।  

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনুর আক্তার রাখি বলেন, এটি শুধু কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যই নয়। তার চিন্তাভাবনা কতটুকু নিচু হতে পারে, তাদের রাজনৈতিক দলের দৈন্যতা এবং তারা নারীদের কতটুকু ছোট করে দেখতে পারে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে সেই চিন্তার প্রতিফলন তিনি দেখিয়েছেন। আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলে দিতে চাই তিনি যেন বাংলাদেশের  সকল শিক্ষার্থীর এবং নারী শিক্ষার্থীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার হয়তো বয়সের সাথে চিন্তা-চেতনাকে হারিয়ে ফেলছেন। আমরা বলবো তিনি যেন কথাবার্তা চিন্তা করে করে বলেন।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যটি একজন মেয়েকে নিয়ে করেছেন। বিষয়টি বাংলাদেশের একজন মেয়েকে নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মেয়েকে ও নারী-সমাজকে অপমান করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। 

গভার্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতী বলেন, মেয়ের বয়সী একজন নারীকে নিয়ে মির্জা ফখরুল যে মন্তব্য করেছে, তা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে মুর্খতার পরিচয় দেওয়া ফখরুল গংদের এই ধরনের নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়াই স্বাভাবিক। মির্জা ফখরুলরা কখনোই নারীর অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না। লুটতরাজ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদী নারী বিদ্বেষের কারণে বহু আগেই এদেশের নারী সমাজ বিএনপি জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও নারী সমাজ তাদের বয়কট করবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাল্গুনী বলেন, বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আসলে নারী জাতিকে সম্মান দিতেই শিখেননি। তার পূর্বসূরীরাও তা দিতে পারেননি, তিনিও দিতে পারছেন না এবং তার উত্তরসূরীরাও দিতে পারবেন না। দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন নারীর সমতা আনয়নের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন তখন একটি জাতীয় পার্টির মহাসচিব হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারীদের জন্য কী অবদান রাখছেন সেটাই বোধগম্য নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা, রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী সুমায়া জান্নাত মিশুও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার হিট অফিসারের ব্যাপারে বলেন, বিদেশ থেকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসে সিটি কর্পোরেশনে নিয়োগ দেয়, নাম দেয় হিট অফিসার। তো আমরা তো এখন হিটেড হয়ে গেলাম। চিকন গুনিয়া, ডেঙ্গু, করোনায় স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে পেয়ে আমরা তো এখন হিটেড-বুটেড হয়ে গেলাম।


সর্বশেষ সংবাদ