সাফাদির সঙ্গে বৈঠক: নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার আবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৯ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৯ PM
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় তিনি এ আবেদন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মুহাম্মদ বলেন, আমাদের কাছে এমন একটি আবেদন দিয়ে গেছে। আমরা এটি নিয়ে কথাবার্তা বলে আপনাদের জানাবো।
মামলার আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ নামক তথাকথিত রাজনৈতিক দলের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর হজ করার কথা বলে বিদেশে সফরে গিয়ে সংযুক্ত অরব আমিরাতের দুবাইয়ে অস্বীকৃত ইসরায়েল রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকার উৎখাতের দেশবিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। মোসাদ এজেন্ট মেন্দি সাফদির সঙ্গে নুরুল হক নুরের ছবি ও তার স্বীকারোক্তিমূলক কথোপকথন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
‘আল্লার পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফের নাম করে বিদেশে গিয়ে ইহুদিচক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নুরুল হক নুর প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্র, সরকার ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। ইসলামের খোলসে মাথা নেড়িয়ে টুপি পরে জুয়িস-জায়নবাদী প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফেসবুক লাইভে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বক্তব্যে ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে নুরুল হক নুরের যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।’
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহী জঙ্গি গোষ্ঠী কুকি চীনের সঙ্গে নুরুল হক নুরের যোগাযোগ রয়েছে, যা দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নুরুল হক নুরের যোগাযোগ প্রমাণ করে নুর বিদেশি শক্তির নির্দেশে জনগণের আবেগকে ব্যবহার করে রাজনীতির নামে প্রকৃতপক্ষে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চান। দেশের অভ্যন্তরে কুকি চীনসহ কতিপয় জঙ্গি গোষ্ঠীকে ব্যবহারের মাধ্যমে নুরুল হক নুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
মামলার আবেদনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন আল মামুন। অভিযোগের ব্যাখ্যায় তিনি লেখেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সবসময় থাকলেও ইসরায়েল ও মোসাদের সহযোগিতায় নুরুল হক নুর ও তার রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ নেতাকর্মীদের উসকে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইনবলে প্রতিষ্ঠিত বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিধায় নুরুল হক নুর রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত করেছেন। তাই দণ্ডবিধির ১২৪(ক), ১২০(খ) ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা আবশ্যক।