ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতিমুক্ত রাখতে ছাত্রলীগের আহ্বান

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী কলেজে চলমান ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতিমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাহসী অভিযাত্রার অবিকল্প সারথি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

‘‘শিক্ষার্থী সমাজের প্রিয় বন্ধু শেখ হাসিনা প্রণীত শিক্ষানীতির আলোকে বিনামূল্যে পাঠ্যাপুস্তক বিতরণ, অবৈতনিক শিক্ষা, শিক্ষাবৃত্তি ও উপবৃত্তি, আধুনিক কারিকুলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা সহায়ক উচ্চশিক্ষা, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কলেজসমূহের সরকারীকরণ ও এমপিও ভুক্তি, বিশেষায়িত জ্ঞানের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, উন্নত আবাসনসুবিধা, সেশনজট শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলামুক্ত ক্যাম্পাস প্রভৃতি কর্মকাণ্ড দেশের শিক্ষাখাতে গুণগত পরিবর্তন সাধন করেছে।’’

আরও পড়ুন: ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা কাল, আসনপ্রতি লড়াই ৬৯ জনের

শিক্ষাখাতে শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলা হয়, উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শেখ হাসিনার সরকার ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রশ্নফাঁসমুক্ত একটি স্বয়ংক্রিয় নিয়োগ কাঠামো গঠন করেছে যার ফলে তরুণরা মেধার ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারছে।

এতে আরও বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যেসকল উচ্চশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্যও প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো গঠন করা হয়েছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে পাশে থাকবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে- প্রতিটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থী সহায়তা ও তথ্যকেন্দ্ৰত স্থাপন, শিক্ষার্থী পরিবহনের ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ সুবিধা, অভিভাবকদের বিশ্রামের সুব্যবস্থা করা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, কেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষনিক স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত জিনিস ও মোবাইল সংরক্ষণ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ, মাস্ক ও কলম বিতরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সাপেক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা।


সর্বশেষ সংবাদ