বরিশালে কৃষকের ধান কেটে প্রশংসায় ভাসছে ছাত্রলীগ

  © টিডিসি ফটো

শ্রমিকের অভাব, কালবৈশাখী ঝড় কিংবা শিলাবৃষ্টিতে জমির পাকা ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বরিশাল মহানগরের ২৬নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুর রহিম। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে অসহায় এই কৃষকের পাশে দাঁড়ান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মশিউর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী ফাত্তাহুর রাফি, জুবায়ের রহমান জিদানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই কৃষকের ৬০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন ।

তাদের এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাত্তাহুর রাফি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নির্বাহী সংসদের কতৃক গৃহিত কর্মসূচি “ধান কেটে কৃষকের ঘরে নিরাপদে পৌঁছে দিতে তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আহ্বান” এর অংশ হিসেবে ধান কেটে কৃষকের মুখে হাসি ফুটানোর আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। প্রচণ্ড রোধের মধ্যে আমাদের একটু কষ্ট হয়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা একজন দরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুবই আনন্দিত ও স্বস্তি বোধ করছি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে আরো অনেক কৃষক সহযোগিতা চেয়েছেন। সকলের জন্য কাজ করতে পারলে ভালো লাগতো, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। তবে আমরা কয়েকজন গরীব ও অসহায় কৃষকের ধান কাটার কাজে সহযোগিতা করব। এর আগেও আমরা অনেক  জনস্বার্থমূলক কাজ করেছি। ইনশাল্লাহ, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখব।

এ বিষয়ে কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, একে তো কালবৈশাখী ঝড়ের ভয়, তার ওপর বর্তমানে কৃষি শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রমিক বা লোকবলও পাওয়া যায় না। আমি একা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। এ নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমার জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে তুলে দিয়েছেন। এতে আমার খুবই উপকার হয়েছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবার জন্য দোয়া করেছি।

এছাড়াও এই ধান কাটার কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী সায়িফ নিবির, শাহরিয়ার সীমান্ত, মোঃ মেহেদী এবং হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ ফাহিমসহ আরও অনেকে।

বরিশালের ২৬নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মিজান বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও এতটা বিনয়ী ও  পরোপকারী হতে পারে সেটা আমার জানা ছিল না। ছাত্রলীগ কর্মীদের আচরণ ও কর্মকান্ডে আমরা সত্যিই মুগ্ধ।

এদিকে দরিদ্র কৃষকের জন্য এমন তৎপরতায় প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে বরিশাল মহানগরের সাধারণ মানুষ, কৃষকসহ সচেতন মহল তাদের ধন্যবাদ অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আগামীতেও অসহায় মানুষের পাশে তারা এমন নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়াবেন বলেই তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ