বাড়তি ফি ও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে কঠোর ব্যবস্থা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০১:০৫ PM , আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০১:১৪ PM
শিক্ষার্থী ভর্তি ও বাড়তি ফি আদায় করলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিও বন্ধসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি বা পর্ষদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানিয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি আদায় করার ঘটনার পর এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রয়োজনে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী নভেম্বর থেকে ভর্তি কার্যক্রম মনিটরিং শুরু করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগেই জানাতে হবে প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা কত, অতিরিক্ত ভর্তি করা যাবে না। সরকার নির্ধারিত কোটা ছাড়া অন্য কোনও কোটায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না।’
গত ১৯ সেপ্টেম্বরের সভা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী ভর্তিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছর অনিয়ম করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে তাদের তালিকা চাইবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি ঠেকাতে ভর্তির সময় নিয়মিত মনিটরিং করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘অতিরিক্ত ভর্তি ও বাড়তি ফি আদায় মনিটরিং করা হবে শুরু থেকেই। এ বিষয়ে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। কঠোরভাবে মনিটরিং চলবে।’
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়কারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাসহ প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করবে মাধ্যমিক-২ অনু বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য সমন্বয় সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি ভর্তি কার্যক্রমের প্রথম দিন থেকেই মনিটরিং করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে ৪শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। গভর্নিং বডির সদস্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা ভর্তি বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণের পর অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে।