প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপে বিনা খরচে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চশিক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রদান করা হবে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চশিক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রদান করা হবে  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নীতিমালা-২০২২ অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চশিক্ষায় (স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি) ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা শর্ত সাপেক্ষে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পড়তে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে জনপ্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ দেওয়া হবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। 

নির্বাচিত ব্যক্তিরা এই ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তরে পড়ার জন্য সর্বোচ্চ ১৮ মাস এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ ৪৮ মাসের ফেলোশিপ পাবেন। তবে সে ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী স্নাতকোত্তরে বিশ্বসেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএইচডিতে বিশ্বসেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার আনতে হবে।

যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

* সোশ্যাল প্রোটেকশন
* এডুকেশন
* উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট
* পাবলিক হেলথ
* ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
* পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি
* ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস
* পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট
* লিগ্যাল অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ
* এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ
* ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি
* ডিপ্লোমেসি
* অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি
* অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস

স্কলারশিপ

সুযোগ-সুবিধা

* সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে।
* স্নাতকোত্তরের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ মাস এবং পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ ৪৮ মাসের জীবনধারণ ভাতা।
* স্বাস্থ্যবিমা।
* এককালীন সংস্থাপন ভাতা।
*এককালীন শিক্ষা উপকরণ ভাতা।
* তৃতীয় দেশে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ ব্যয়।
এ ছাড়া ফেলোশিপের আওতায় প্রদেয় ভাতার নির্ধারিত হার গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

আবেদনের শর্তাবলি

বাংলাদেশের নাগরিক যারা বিদেশে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেননি, তারা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যারা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন, তারা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যাদের চাকরি স্থায়ী হয়েছে শুধু তারাই আবেদন করবেন। আবেদনকারীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নিঃশর্ত ভর্তির অফার আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

* কোনো আবেদনকারীর বিদেশি কোনো ডিগ্রি থাকলে ওই ডিগ্রির জন্য আবশ্যিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সমতা সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি ডিগ্রির সার্টিফিকেট মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে না।
* ২০২৩ সালের র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ১ থেকে ২০০ এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ১ থেকে ১০০-এর মধ্যে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার আনতে হবে।
* ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য দুই বছর এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ তিন বছর ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।
* আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত টোফেল ও আইইএলটিএসের (একাডেমি) কার্যকর মেয়াদ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ আর টোফেলে ন্যূনতম ৮০ ও পিটিই একাডেমিকের ক্ষেত্রে মোট স্কোর হতে হবে ৫৯।
* আবেদনের শেষ তারিখে আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়স পিএইচডির ক্ষেত্রে ৪৫ বছর আর মাস্টার্স কোর্সের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর হতে হবে। 
* অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
* ফেলোশিপের ফলাফল ঘোষণার পর অধ্যয়নের সময় বা দেশ পরিবর্তন করলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
* আবেদনে কোনো অসম্পূর্ণ, মিথ্যা বা যেকোনো ধরনের জালিয়াতি ফেলো নির্বাচন বা ফেলোশিপের যেকোনো পর্যায়ে জানা গেলে আবেদন বা ফেলোশিপ তাৎক্ষণিক বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।

শতভাগ স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়ার সুযোগ

আবেদন প্রক্রিয়া
ফেলোশিপের ওয়েবসাইট -এ প্রবেশ করে একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আবেদনকারী ব্যক্তি ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে নিজের একটি ইমেইল অ্যাকাউন্টে মোবাইল নম্বর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদনকারী ব্যক্তি তাঁর আবেদন তৈরি এবং জমা দিতে পারবেন। 

আবেদন জমা দেওয়ার পর কোনো ভুল হলে তা একাধিকবার সংশোধনের সুযোগ আছে। আবেদন জমা দেওয়ার পরই ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে নিশ্চয়তা সূচক একটি বার্তা পাবেন আবেদনকারী ব্যক্তিরা। জমা দেওয়ার জন্য আবেদনের হার্ড কপি সংরক্ষণ করতে হবে।

তিনটি ক্যাটাগরিতে আবেদন গ্রহণ করা যাবে
* বিসিএস ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা ‘বিসিএস সরকারি কর্মকর্তা’ অন্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ‘নন-বিসিএস সরকারি (বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য)’ 
* বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য ‘বেসরকারি ক্যাটাগরি’তে আবেদন করতে পারবেন।
* আবেদন ফরমে বিসিএস কর্মকর্তা ছাড়া অন্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা ‘নন-বিসিএস সরকারি (বিসিএস ছাড়া অন্যান্য)’ ক্যাটাগরিতে বিবেচিত হবেন।


সর্বশেষ সংবাদ