কুবির মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অবস্থান, উত্তেজনা

ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের স্ব-ঘোষিত পার্টি অফিসে দুই হলের মধ্যে মারামারির ঘটনায় জড়িতদের বিচারে বসেছেন সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ। অন্যদিকে বিচারপ্রার্থী দুই হলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের অবস্থানকে ঘিয়ে রবিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর একাধিকবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের অধিকাংশই লাঠিসোটা নিয়ে সজ্জিত রয়েছেন। তবে এদের সবাই এসব সরঞ্জাম নিজেদের হেফাজতে রেখেছেন। মূলত পূর্ব পূর্ব ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসে এ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে দু’হলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এসময় কয়েকবার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতাকর্মীরা তাদের স্ব-ঘোষিত পার্টি অফিসে নিয়ে যায়। পরে তাদের পূর্বের ঘটনা নিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়।

আরও পড়ুন: জবিতে যার যত ক্ষমতা তিনি তত দেরী করে আসেন অফিসে

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বান্ধবীর জন্য সিট রাখাকে কেন্দ্র করে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সিফাতের সাথে কথাকাটাকাটি হয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগ কর্মী মো. মিরাজ হাসানের। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সিফাতকে মারধর করে দত্ত হল শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি এতক্ষণ ক্যাম্পাসেই ছিলাম, ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানলাম তাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখন তারা নিজেরা এর সমাধানের চেষ্টা করতেছে। তারা যদি এর সমাধান না করতে পারে তাহলে প্রশাসন এটা দেখব। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে ছাত্রলীগ   মীমাংসা করতে পারে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।


সর্বশেষ সংবাদ