জাককানইবিতে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিংসহ যত অভিযোগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

নিয়ম অনুযায়ী বার্ষিক মৌখিক পরীক্ষায় বহিঃস্থ (এক্সটার্নাল) শিক্ষকের উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের নিয়ম রয়েছে। তবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) মৌখিক পরীক্ষায় এ নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় এ অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভাগ পরিচালনা ও পরীক্ষার ফলে ধস নামানোর অভিযোগও তুলেছেন।

এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নজরুলের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপাচার্য বরাবর প্রেরিত লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা মোট ৭টি সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো হল- অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ না করা, স্নাতকোত্তর শ্রেণির মৌখিক পরীক্ষায় বহিঃস্থ শিক্ষকের অনুপস্থিতি, একজন শিক্ষকের একাধিক কোর্স গ্রহণ, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস গ্রহণ, থিসিস ও গবেষণা প্রদানে বিভাগের শিক্ষকদের অনীহা, শিক্ষকদের অসহিষ্ণু আচরণ এবং মাত্রাতিরিক্ত সেশনজট।

শিক্ষার্থীরা জানায়, স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ৯টি কোর্সের মধ্যে অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম একাই ৩টি কোর্স নিতেন। বিভাগেরই অন্য শিক্ষকদের দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতেন। বাইরের শিক্ষক না থাকায় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে অন্য শিক্ষকদের দিয়ে নম্বর বসাতেন।

বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার বলেন, উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। খাতা পুনঃমূল্যায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে খতিয়ে দেখে যদি কোন সমস্যা পাওয়া যায় সে বিষয়ে আইনের মধ্য থেকেও ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে ডাস্টবিন বানালেন ববি শিক্ষার্থী

ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম জানান, বার্ষিক মৌখিক পরীক্ষায় নিয়ম অনুযায়ী একজন বহিঃস্থ শিক্ষক থাকার বিধান রয়েছে। খাতা মূল্যায়নের জন্যেও বাইরের এক্সপার্টের কাছে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে করোনাকালীন সময়ের জন্যে ভিতরের শিক্ষক দিয়েও মূল্যায়ন করার নিয়ম করা হয়ে ছিল।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর জানান, শিক্ষার্থীদের ফল নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা শুনে আমি তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। তাদের সংকটগুলো জানার চেষ্টা করেছি। খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধানে কাজ করব। ৭দিন পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি আবার বসব। আইনের মধ্যে যা করার থাকবে সেটিই করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ