লঞ্চে আগুন

মায়ের পরামর্শে প্রাণ বাঁচল সাতার না জানা জবি শিক্ষার্থীর

ফাতেমা আক্তার ও জবি লোগো
ফাতেমা আক্তার ও জবি লোগো  © সংগৃহীত

অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সাঁতার না জানলেও মায়ের পরামের্শে সেদিন নদীতে ঝাপ দিয়েছিলেন তিনি।

ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আক্তার। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে গ্রামের বাড়ি বরগুনায় যাচ্ছিলেন ফাতেমা। ফুফাতো বোনের সঙ্গে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছানোর পর তাতে আগুন লেগে যায়। তখন কি করবেন সেটি বুঝতে না পেরে মাকে ফোন দেন। এসময় তার মায়ের পরামর্শে নদীতে ঝাপ দেন ফাতেমা। মায়ের পরামর্শে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

আরও পড়ুন: বাসায় বসে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন পৌর মেয়র!

বর্তমানে ফাতেমা আক্তার ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মা-বাবা দুজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভয় পেয়ে মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় ফাতেমার। সাঁতার না জেনেও আগুন থেকে বাঁচতে মায়ের পরামর্শে নদীর ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপ দেন তিনি। ফুফাতো বোনের সহায়তায় কোনো রকমে নদীর তীরে পৌঁছাতে পারেন ফাতেমা। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আয়োজক কমিটির উপর

এদিকে ফাতেমার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে খোঁজখবর রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর উন্নত চিকিৎসায় সুযোগ–সুবিধার দরকার হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মো. মহিউদ্দিন। মহিউদ্দিন বলেন, ‘আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর পাশে থাকবে।’