ইবির দুটি হল নির্মাণে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

  © ফাইল ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি হলের নির্মাণ কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন হাইকোর্ট। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে এ রি-টেন্ডার দুটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।

একইসঙ্গে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাককে কেন কার্যাদেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে রুল জারি করেছেন আদালত।

শনিবার (২৭ মার্চ) বাদীপক্ষের ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুজন মিয়া স্বাক্ষরিত দুটি রিট পিটিশনে এ তথ্য জানা গেছে।

রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রি-টেন্ডার দুটি স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দীন মোহাম্মদ তারেক বলেন, এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দশতলা একটি ছাত্র হল ও একই বছরের ৫ মার্চ একটি ছাত্রী হল নির্মাণ করতে দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। যার মূল্যমান ১০৬ কোটি টাকা। এতে ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও এম/এস রহমান ট্রেডার্সসহ ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে।

একই বছর ১৩ ও ১৪ মে দরপত্র খোলে কর্তৃপক্ষ। ওই টেন্ডারে সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে এম/এস রহমান ট্রেডার্স ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড দরপত্র জমা দিয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে জটিলতার কারণে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফের দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।

পরে একই দিনে শর্ত পূরণ সাপেক্ষেও কাজ না পাওয়ায় ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদ মুরাদ বাদী হয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন। ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী শহীদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, টেন্ডার যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৩১ মার্চে দুটি টেন্ডার ওপেন করার কথা থাকলেও ছাত্র হল-২ রি-টেন্ডার হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতে আপিল করবে। এজন্য ভিসি স্যার আইন প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর টেন্ডার দুটি বন্ধ রাখতে বলেছি। আইনজীবীর মতামত জানতে চেয়েছি। এরপর যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence