বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ ইইউবি শিক্ষার্থীদের, ভিত্তিহীন দাবি শিক্ষকদের

ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি

গত ২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের তথ্য ভিত্তিহীন জানিয়ে ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির গাবতলীস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান চেয়ারম্যান আহমেদ ফরহাদ খান তানিমের উপর আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জুলাই ছাত্র আন্দোলনের পরে ড: মকবুল আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির জন্য আন্দোলন করে, যা বিগত ২০২২ সালের ইউজিসির তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারী ঘটিত অভিযোগের প্রেক্ষিতেও ছাত্ররা আন্দোলন করে এবং পরবর্তীতে আন্দোলনের তোপের মুখে বোর্ড অব ট্রাস্টি থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন ড. মকবুল আহমেদ খান। এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং সকলের সম্মতিতে আহমেদ ফরহাদ খানকে ইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করা হয়।

ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার মোশাররফ হোসেন সরকার বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টি (বিওটি) এবং প্রশাসন নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। 

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফাইনান্স ডিরেক্টর বশিরুল আজম সেলিম বলেন, শ্যামলী ক্যাম্পাস কখনই ইইউবি এর নামে রেজিস্ট্রিকৃত কোন সম্পত্তি ছিল না। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইন অনুযায়ী শ্যামলী ক্যাম্পাস আয়তনে ছোট হওয়াই আমরা ২০১৫ সালে গাবতলীতে ৫ লক্ষ স্কয়ার ফিটের ১২ তলা ক্যাম্পাস স্থানান্তর করি এবং সকল সিদ্ধান্ত সাবেক চেয়ারম্যান ড. মকবুল আহমেদ খানের মেয়াদকালে সম্পন্ন হয়েছে। 

প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেশন ডিরেক্টর এমদাদুল হক বলেন, প্রাক্তন বিজনেস চেয়ারম্যান ফারজানা আলম ভুয়া সনদ সহ অনিয়ম পাওয়া যায়। ফারজানা আলম ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে প্রফেসর হয়েছে প্রমাণিত হওয়ায় সে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একশন নিয়েছেন এবং সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলা চলমান রয়েছে। 

অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার এস এম যুবায়ের বলেন, ২০২৪ সালে ২৬ অক্টোবর নতুন বোর্ড অব ট্রাস্টি গঠিত হয়েছে এবং আরজেএসসিতে জমা দেওয়া হয়। এবং এনএসআই ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর গত ২৯ জুলাই ২০২৫ তা আরজেএসসিতে পূর্ণাঙ্গভাবে রেকর্ড হয়েছে। 

প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর নাকিব আল কাউসার বলেন, শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা, মানোন্নয়ন, ব্যক্তিগত এজেন্ডা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

ফ্যাকাল্টি ইভ্যালুয়েশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ জুনায়েদ মুনির বলেন, চলমান পরিস্থিতিকে বিভ্রান্তির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলার দিকে না নিয়ে গিয়ে বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ