শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগে শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন
- খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৪৩ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:১৬ PM

এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা, স্নাতক ডিগ্রির সনদ বাতিলসহ মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) প্রশাসন। এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, অধ্যাপক ড. মো. খসরুল আলম ও অধ্যাপক ড. মো. আজমল হুদা। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার সংবাদে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে এসে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার দাবি করে ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান নেন তারা। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরবেন না বলেও জানান তারা। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির মাথায় ধাতব কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। এ সময় আম চুরি করতে যাওয়া ছাত্ররা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী শিক্ষককে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে উপাচার্য ড. রেজাউল করিম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩১তম সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উল্লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে নিকটস্থ থানায় ফৌজদারি আইনে মামলা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে এই মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।