জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নানা দাবিতে মানববন্ধন
- জবি কন্ট্রিবিউটর
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৪ PM

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো এবং বিজেএসে নন-ক্যাডার পদের সংযোজনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক অর্থনৈতিক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনামলে নির্ধারিত আবেদন ‘ফি’ এখনো বহাল রয়েছে। যা বর্তমান সময়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং বিজেএস পরীক্ষার ১ হাজার ২০০ টাকা ‘ফি’ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয় এমন অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি ও পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালান। এ ধরনের ‘উচ্চ ফি’ তাদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। যা আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরো পড়ুন: জবির ৯৪ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
আইন অনুষদের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিচার বিভাগে প্রবেশের জন্য এত বেশি ‘ফি’ নির্ধারণ করাটা শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার। এই ‘ফি’ কমানোর জন্য বার কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা পরীক্ষা বর্জনসহ আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হবো।’
আরেক শিক্ষার্থী মোশতাক আহমেদ সন্তু বলেন, ‘অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার কাউন্সিল ও বিজেএসের আবেদন ‘ফি’ সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিজেএস পরীক্ষার লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা এবং নন-ক্যাডার পদের ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে বিচার বিভাগের বাইরে অন্যান্য সরকারি ও আইনসংশ্লিষ্ট পদেও আইনজীবীরা চাকরির সুযোগ পান।’
শিক্ষার্থী নিপা রাণী বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের উপার্জনের মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। চার-পাঁচ হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষায় বসা আমাদের জন্য খুব কঠিন। এই ফি না কমানো হলে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক হয়ে দাঁড়াবে। আমরা চাই, দ্রুত ফি পুনর্বিবেচনা করে তা ২০০ টাকার মধ্যে নামিয়ে আনা হোক।’