ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের ৬ষ্ঠ পুনর্মিলনী

ইবির ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ষষ্ঠ প্রাক্তন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা
ইবির ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ষষ্ঠ প্রাক্তন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা  © টিডিসি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ষষ্ঠ প্রাক্তন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই প্রাক্তন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মো. আল-রেজার সভাপতিত্বে ও বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিমা ও নয়ন শেখের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক ও ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ রশিদ। 

আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনেট সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান।

আরও পড়ুন: চুয়েটে পালিত হলো অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পুনর্মিলনী হচ্ছে প্রাক্তনদের সঙ্গে নতুনদের একটি সেতুবন্ধন। এখান থেকে পড়াশোনা করলে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, তারা তাদের সফলতার গল্প এখানে শিক্ষার্থীদের বলবেন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনুসরণ করে সেই মোতাবেক তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। যারা চাকরিজীবী তারা আমাদের নিয়ে তেমন চিন্তা করে না, কিন্তু আমাদের তাদের নিয়ে চিন্তা করতে হয় কারণ তাদের আমাদের দরকার। অনেক শিক্ষার্থীই জানেনা যে আমাদের বিভাগের প্রাক্তনরা কে কোথায় আছে। ঘনঘন এধরণের আয়োজন করে সবার সঙ্গে পারস্পরিক বন্ধ শক্তিশালী হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘অ্যালমনাইদের সঙ্গে যদি বিভাগের সুসম্পর্ক থাকে, নিবিড় সম্পর্ক থাকে, তাহলে বিভাগের সিলেবাস কারিকুলাম উন্নয়ন করা যায়। অ্যালমাইনদের সঙ্গে বিভাগের সুসম্পর্ক থাকতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ বডি হলো সিন্ডিকেট। সেখানেও অ্যালমনাইদের একটা প্রতিনিধিত্ব আছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়ে বিভাগের একাডেমিক কমিটি, ফিন্যান্স কমিটি, প্ল্যানিং কমিটিসহ অনেক জায়গায় অ্যালমনাইদের রাখা হয়নি। এসব জায়গায় যদি অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে তা বিভাগের জন্য এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপকার হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অ্যালামনাইরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’


সর্বশেষ সংবাদ