‘রগ কাটা’ ইস্যু নিয়ে যা বলল ওসমানী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ PM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০২ PM
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি মন্তব্যের (কমেন্ট) জেরে সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মিজানুর রহমান রিয়াদ ও জাহিদুল ইসলাম হৃদয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রাবাসের ১ম ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে দুজনকেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ হামলায় আহতের একজন মিজানুর রহমান রিয়াদ। ঘটনার পর ফেসবুকে তার পায়ের রগ কাটা হয়েছে বলে ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে ছাত্রদলসহ একাধিক সংগঠন। তবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ঘটনায় আহতদের কারও রগ কাটার মত বড় ইস্যু নিয়ে কোনো বক্তব্যও তাদের চিকিৎসকরা দেয়নি। তাই এ দাবি সঠিক নয় বলে জানান মেডিকেলের উপ-পরিচালক।
আরও পড়ুন: পায়ের রগ কাটার মত কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি: চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে এমসি কলেজ অধ্যক্ষ
শাখা ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী সঙ্গে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আহত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের একজন মিজানুর রহমান রিয়াদ ও অন্যজন জাহিদুল ইসলাম হৃদয়। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।
ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হৃদয়ের হাত কিছুটা ফুলে গিয়েছিল, তবে এক্স-রেতে কোনো ভাঙা ধরা পড়েনি। আর রিয়াদ সামান্য আহত হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর সে আমাদের না জানিয়েই হাসপাতাল থেকে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পায়ের রগ কাটার মতো কোনো চিহ্ন আমার চিকিৎসকরা পাননি। রগ কাটার মত বড় ইস্যু নিয়ে কোনো বক্তব্যও আমাদের চিকিৎসকরা দেননি। হৃদয়ের যে পায়ে আঘাত লেগেছে, সেটির যথাযথ চিকিৎসা করা হয়েছে। যদিও সেটি খুব গুরুতর নয়। তবে সে চিকিৎসা শেষ না করেই চলে গেছে।