ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান

ইবিতে তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সম্মেলন
ইবিতে তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই লেখক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় শতাধিক তরুণ লেখক অংশগ্রহণ করেন। 

লেখক ফোরাম ইবি শাখার সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে এবং মাহিমা খান ও তুহিন বাবুর যৌথ সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করিম, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. জাকির হোসেন ও আইআইইআর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইকবাল হোছাইন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, ইবি শাখার সাবেক সভাপতি আবু তালহা আকাশ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, লেখা সমাজ দর্শনকে মানুষের কাছে তুলে ধরে, লেখার মাধ্যমেই সমাজকে চেনা যায়। কোরআনের প্রথম দিকের আয়াত নাজিল হয়েছে কলমকে উল্লেখ করে। যারা সভ্যতার ইতিহাস বিনির্মাণ করেছেন, বিপ্লব ঘটিয়েছেন তারা সবাই লেখক ছিলেন। লেখক কলমের মাধ্যমে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন ঘটিয়ে সমাজকে বিনির্মাণ করে। এজন্য লেখক সন্ত্রাস হয় না, হয় শান্তিপ্রিয়। 

তিনি আরো বলেন, ‘পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের নয়। কারণ লেখার মৃত্যু ঘটে না। যুগ যুগ ধরে তা পাঠক শ্রেণীর মাঝে বেঁচে থাকে। তিনি বলেন, জ্ঞানের সমৃদ্ধির ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় লেখনীর মাধ্যমেই পৃথিবীতে জ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে।’ সোমবার তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখার লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সৃষ্টিশীল, ইনফরমেটিব এবং গবেষণামূলক- লেখকের এই তিনটি দরকার। সবাই লেখালেখি করলেই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!